ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গভীর রাত (Ghaziabad Incident) । উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদের একটি বাড়ি থেকে রক্ত গড়িয়ে বাইরে আসতে দেখা যায়। ভাড়াটিয়া ব্যক্তি দরজায় ধাক্কা দেন, কিন্তু ভেতর থেকে কোনো সাড়া শোনা যায় না। আতঙ্কিত হয়ে তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে এক মর্মান্তিক দৃশ্য।
উদ্ধার মৃতদেহ (Ghaziabad Incident)
৬৪ বছর বয়সী বৃদ্ধ পতি সিংয়ের নিথর দেহ মেঝেতে (Ghaziabad Incident) পড়ে রয়েছে। তাঁর শরীরে কোনো জামাকাপড় নেই, পাশে রয়েছে একটি রক্তে ভেজা ক্রিকেট ব্যাট। প্রথমে এই ঘটনাটি রহস্যময় মনে হলেও, তদন্ত যত এগোয়, ততই উন্মোচিত হয় এক চাঞ্চল্যকর সত্য।
শ্বশুর ও পুত্রবধূর বচসা (Ghaziabad Incident)
বৃদ্ধ পতি সিং তাঁর বিধবা পুত্রবধূ আরতি এবং দুই নাতি-নাতনিকে নিয়ে (Ghaziabad Incident) বাস করতেন। চার বছর আগে করোনায় তাঁর স্ত্রী এবং ছেলের মৃত্যু হয়। কোর্টের নির্দেশে মাত্র চার মাস আগে পুত্রবধূ আরতি সন্তানদের নিয়ে এই বাড়িতে থাকতে আসেন। কিন্তু শ্বশুর ও পুত্রবধূর মধ্যে আবারও বচসা শুরু হয়। এই দ্বন্দ্বই শেষ পর্যন্ত এক ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগিয়ে যায়।
নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড
ঘটনার রাতেই আরতি তাঁর সন্তানদের ঘরের ভেতর পাঠিয়ে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দেন। এরপর তিনি শ্বশুরের ঘরে প্রবেশ করেন এবং নেমে পড়েন এক নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডে। প্রথমে তিনি শ্বশুরের কাপড় খুলে ফেলেন, তারপর ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে তাঁর মাথায় একের পর এক আঘাত করতে থাকেন। যতক্ষণ না বৃদ্ধ নিস্তেজ হয়ে মেঝেতে পড়ে যান, ততক্ষণ তিনি থামেননি।
আরও পড়ুন: Walnut Benefits: মুঠো মুঠো আখরোট খাচ্ছেন? শরীরের ক্ষতি হচ্ছে না তো?
জেরার মুখে স্বীকার
ভাড়াটিয়া ব্যক্তি রক্ত গড়িয়ে যেতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এবং নগ্ন অবস্থায় পড়ে থাকা বৃদ্ধের দেহ দেখতে পায়। প্রথমে সন্দেহের তীর অন্যদিকে ঘুরলেও, কড়া জেরার মুখে আরতি শেষ পর্যন্ত স্বীকার করেন যে তিনিই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
প্রকাশ্যে ভয়ঙ্কর তথ্য
তদন্তে আরও ভয়ঙ্কর তথ্য উঠে আসে। দীর্ঘদিন ধরে শ্বশুর পতি সিং আরতির উপর কু-নজর রাখতেন এবং একাধিকবার আপত্তিকর আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায়ও তিনি আরতিকে ঘরে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই আরতি এই হত্যাকাণ্ড ঘটান।
পুলিশের অনুমান
তবে পুলিশ আরেকটি সম্ভাবনার দিকেও নজর দিচ্ছে। পতি সিংয়ের নামে মোটা অঙ্কের অবসরকালীন টাকা ছিল। পুলিশ সন্দেহ করছে যে এই টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্যও এই হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত হতে পারে। তদন্ত এখনও চলছে, এবং এই ঘটনার পিছনে সঠিক কারণ কী, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।