ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কোচবিহারের হরিণচওড়া এলাকায় পুলিশের প্রহারে (Calcutta High Court) এক বৃদ্ধা মহিলার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। সোমবার এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করে পুলিশকে যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার এই নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ এ-ও বলেছেন, আগামী বৃহস্পতিবার তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হবে পুলিশকে। সে দিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
পুলিশের অত্যাচারে মহিলার মৃত্যু (Calcutta High Court)
জানুয়ারি মাসে হরিণচওড়া বাঁধের এলাকায় পুলিশের গাড়ির চালকের সঙ্গে মৃতার বড় ছেলে আমজাদ আলির বচসা বাধে। সেই ঘটনার জেরেই ১৮ জানুয়ারি’২৫ রাত ১২টা ৪৫ মিনিট নাগাদ কোতওয়ালি থানার ২০-২২ জনের পুলিশ বাহিনী আমজাদের বাড়িতে হানা দেয়। জানা যাচ্ছে ওই সময় পুলিশের মারধর (Calcutta High Court), অত্যাচারে ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। তাই পুলিশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় ওই পরিবার।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ (Calcutta High Court)
রাজ্যের তরফে আইনজীবীর দাবি, এটা আকস্মিক ঘটনা। ওই মহিলার গুরুতর হৃদরোগ ছিল। উত্তেজনাবশত হৃদরোগের কারণে তাঁর মৃত্যু ঘটেছে। ওই মহিলার ছেলেদের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু হয়। সেই ভিত্তিতে পুলিশ তল্লাশি চালায়। অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে। ইনকোয়েস্ট রিপোর্ট ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করে রাজ্য (Calcutta High Court)। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ রাজ্যের থেকে মৃতার শরীরে আঘাতের দেখে তাঁর পর্যবেক্ষণ, “ময়নাতদন্তের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে ক্ষতচিহ্ন সব টাটকা, কোন আঘাতের জেরে এই ক্ষত?”
আরও পড়ুন: Nabanna Road Blocked: নবান্নের কাছে উল্টে গেল মালবোঝাই কন্টেনার, ব্যহত যান চলাচল
‘প্রয়োজনীয় তদন্ত করতেই হবে’
বিচারপতি বলেন, ‘আঘাতের চিহ্নও তো ছিল। সেটা সঠিক কি না তা দেখা দরকার। তাই মামলা রুজু করে তদন্ত করুক পুলিশ।’ বিচারপতি জানান, এই ধরনের অন্তত ৫০টি মানবাধিকার সংক্রান্ত মামলা তাঁর এজলাসে আসে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “স্বাভাবিক কারণে হোক, পুলিশের অত্যাচারে হোক বা অন্য দলের সঙ্গে ঝামেলায় হোক, ঘটনার প্রয়োজনীয় তদন্ত করতেই হবে। বিচারপতি এই ঘটনায় পুলিশকে যথাযথ তদন্তের নির্দেশ দিয়ে পুনরায় রিপোর্ট পেশ করতে বলেন। ২৭ মার্চ মামলাটির পরবর্তী শুনানি।