ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ফ্যাশনের অন্যতম মাধ্যম হল (Tattoo Removing) ট্যাটু। যার ট্যাটু যতবেশি ইউনিক, তার ফ্যাশন সেন্স তত বেশি সমৃদ্ধ। এমনটাই অন্তত মনে করে ফ্যাশন প্রিয় মানুষরা। কিন্তু ট্যাটু করার আগে ট্যাটু মোছার ধুম কেন উপত্যকার যুব সমাজে?
মানসিকতায় পরিবর্তন (Tattoo Removing)
উপত্যকার যুবসমাজে ট্যাটু মুছে ফেলার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে একে-৪৭-এর (Tattoo Removing) ট্যাটু। কাশ্মীরের তরুণদের মধ্যে মানসিকতায় পরিবর্তন এসেছে, যা এই উল্কি অপসারণের ফলে প্রতিফলিত হচ্ছে।
ট্যাটু ক্লিনিকে ভিড় (Tattoo Removing)
শ্রীনগরের ট্যাটু ক্লিনিকগুলিতে দৈনন্দিনভাবে যুবকদের ভিড় (Tattoo Removing) দেখা যায়, কিন্তু তারা ট্যাটু আঁকার জন্য নয়, বরং মুছে ফেলার জন্য। এক জনপ্রিয় ট্যাটু অপসারণকারী জানিয়েছেন, গত চার বছরে তিনি এক লক্ষেরও বেশি ট্যাটু মুছে ফেলেছেন। যুবকদের মধ্যে এই প্রবণতা একটি আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। অনেকেই আফসোস করছেন, কেন তারা ট্যাটু করিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: Pamban Bridge: রামনবমীতেই পামবান সেতুর উদ্বোধন করবেন মোদী

কেন এই চেতনা?
ট্যাটু অপসারণের পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারি এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ এর মধ্যে অন্যতম। যুবকরা মনে করছেন, ইসলাম শরীরের এই পরিবর্তনকে অনুমোদন করে না। মুখতার আহমদ নামের এক যুবক জানান, তিনি ফ্যাশনের জন্য ট্যাটু করিয়েছিলেন, কিন্তু পরে বুঝেছেন এটি ইসলামের বিরুদ্ধে।
ধর্মীয় শিক্ষার বিরোধী
কাশ্মীরের ইসলামিক পণ্ডিতরাও ট্যাটুর বিরুদ্ধে সোচ্চার। ধর্মীয় বক্তৃতাগুলিতে তারা এই বিষয়টিকে নিয়ে আলোচনা করছেন, দাবি করছেন যে ট্যাটু ধর্মীয় শিক্ষার বিরোধী। ফলে, কাশ্মীরে ট্যাটু মুছে ফেলার প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে।