ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: একটি প্রতিবেদনের সুত্র ধরে জানা গিয়েছে যে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স (Vance Oppose Trump) একটি চ্যাটে লিখেছেন, “আমি নিশ্চিত নই যে রাষ্ট্রপতি জানেন যে এটি বর্তমানে ইউরোপ সম্পর্কে তার বার্তার সঙ্গে কতটা অসঙ্গতিপূর্ণ।” কিন্তু হঠাৎ এই কথা কেন বললেন ভান্স?
হোয়াইট হাউসে বিতর্ক, ফাঁস হওয়া চ্যাটে ভিন্ন মত পোষণ করলেন জেডি ভ্যান্স (Vance Oppose Trump)
অ্যামেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স সম্প্রতি ফাঁস হওয়া সিগন্যাল চ্যাটে হুথিদের ওপর হামলা নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের থেকে কিছুটা আলাদা অবস্থান নেন (Vance Oppose Trump)। “দ্য আটলান্টিক” পত্রিকার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, এই চ্যাটে জেডি ভ্যান্স প্রশ্ন তোলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কি আদৌ বুঝতে পারছেন যে হুথিদের ওপর একতরফা হামলা ইউরোপ নিয়ে তার কঠোর অবস্থানের বিপরীত?”
জেডি ভ্যান্স কী লিখেছিলেন ফাঁস হওয়া চ্যাটে? (Vance Oppose Trump)
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চ্যাট গ্রুপে জেডি ভ্যান্স লেখেন (Vance Oppose Trump), “আমি নিশ্চিত নই যে প্রেসিডেন্ট বুঝতে পারছেন এই হামলা ইউরোপ নিয়ে তার বর্তমান অবস্থানের সঙ্গে কতোটা অসঙ্গতিপূর্ণ। তাছাড়া, এর ফলে তেলের দামে মাঝারি থেকে বড়সড় বৃদ্ধি হতে পারে। আমি দলে একমত হতে পারি এবং আমার উদ্বেগ গোপন রাখতে পারি। তবে, এটি এক মাস পিছিয়ে দেওয়া ও জনগণের কাছে এর প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করার পক্ষে শক্তিশালী যুক্তি আছে।”
তিনি আরও লেখেন, “মার্কিন বাণিজ্যের ৩ শতাংশ সুয়েজ খালের মাধ্যমে চলে, যেখানে ইউরোপের ৪০ শতাংশ বাণিজ্য এই পথ ব্যবহার করে। জনসাধারণ হয়তো বুঝতে পারবে না কেন এটি জরুরি। প্রেসিডেন্ট যেভাবে বলেছেন, মূল বার্তা পাঠানোর জন্যই এটি করা উচিত।”
শেষ পর্যন্ত হামলা সমর্থন করেন ভ্যান্স
প্রাথমিকভাবে মতভেদ প্রকাশ করলেও, শেষ পর্যন্ত জেডি ভ্যান্স হামলার পক্ষে সম্মতি জানান। তিনি প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথকে বলেন, “আপনি যদি মনে করেন আমাদের এটি করা উচিত, তাহলে চলুন। শুধু ইউরোপকে বারবার সাহায্য করতে হচ্ছে, এটা ভালো লাগছে না।”
হোয়াইট হাউসের বক্তব্য
ভ্যান্সের এই মন্তব্যের পর তার কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর উইলিয়াম মার্টিন দাবি করেন, “ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্পূর্ণ একমত।” তিনি আরও বলেন, “ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্সের প্রথম দায়িত্ব হল নিশ্চিত করা যে প্রেসিডেন্ট তার উপদেষ্টাদের কাছ থেকে যথাযথ ব্রিফিং পাচ্ছেন। তিনি এই প্রশাসনের বিদেশ নীতিকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেন।”
হোয়াইট হাউসের দাবি— এটি ‘ফেক নিউজ’
হোয়াইট হাউস দাবি করেছে, এই চ্যাটে কোনো “ওয়ার প্ল্যান” ছিল না। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেন, “এই পুরো প্রতিবেদনটি আরেকটি ভিত্তিহীন গল্প। এটি একজন ট্রাম্প-বিরোধী সাংবাদিকের লেখা, যার কাজই হল সংবেদনশীল গল্প বানানো।”
তিনি এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট করে জানান, “এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর।”