ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গড়চুমুক জুলজিক্যাল পার্কেে (Garchumuk Zoological Park) পর্যটকদের জন্য সুখবর! উলুবেড়িয়ার পারিজাত এলাকায় এক অনুষ্ঠানে এসে রাজ্যের পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায় বলেন, গড়চুমুক জুলজিক্যাল পার্কে আসতে চলেছে দু’টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। শুধু তাই নয়, আনা হবে চিতাবাঘ, ভল্লুকও। ইতিমধ্যে বাঘের এনক্লোজার তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় দরকারি কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলেই কাজ শুরু হবে।
বাঘের জন্য এনক্লোজার (Garchumuk Zoological Park)
সব ঠিকঠাক থাকলে এ বছর শীতেই গড়চুমুক মিনি জু-তে আনা হবে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। সোমবার উলুবেড়িয়া পুরসভার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ইদের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন রাজ্যের পূর্ত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়। সেখানেই তিনি বলেন, বাঘের জন্য এনক্লোজার তৈরি করা হবে (Garchumuk Zoological Park)। এর পর দু’টি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার আনা হবে। তবে শুধু বাঘ নয়, পাশাপাশি চিতাবাঘ, ভাল্লুকও আনা হবে বলে জানান তিনি।
জুলজিক্যাল পার্কে একাধিক প্রাণী (Garchumuk Zoological Park)
দিনে দিনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে এই পার্ক। এই মুহূর্তে গড়চুমুক জুলজিক্যাল পার্কে একাধিক প্রাণী রয়েছে। দেখা যায় নীলগাই, ইমু, ম্যাকাও, পাইথন, বাঘরোল, সজারু। এছাড়াও রয়েছে শতাধিক হরিণ, চারটি কুমির, শতাধিক কচ্ছপ, পঞ্চাশটির বেশি প্রজাতির পাখি। এ বার বাঘ আনার পদক্ষেপ শুরু। মিনি জু-এর নির্দিষ্ট যে জায়গায় রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের থাকার ব্যবস্থা হবে, ইতিমধ্যেই সেখানে বোর্ডও লাগানো হয়েছে। তাতে লেখা হয়েছে, বাঘের জন্য প্রস্তাবিত এলাকা। আগামী দিনে চিড়িয়াখানাকে আরও সাজিয়ে তোলা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: WB Government: সরকারি প্রকল্পের নজরদারিতে খুললো নয়া পোর্টাল!
বনদপ্তরের জায়গায় আমূল পরিবর্তন
৭৩ একর জায়গায় এই পর্যটন কেন্দ্রটির নাম ছিল মৃগ দাব। ছিল শুধু হরিণ, সজারু আর গুটিকয়েক পাখি। এটি পরিচালনার দায়িত্ব ছিল হাওড়া জেলা পরিষদের। তৃণমূলের সময়ে কয়েক বছর আগে এর আমূল উন্নতি সাধনের পরিকল্পনা করা হয়। এই জায়গা দুটো ভাগ করা হয়। একটা অংশ দেওয়া হয় বনদপ্তরকে এবং আরেকটি অংশ দেখভাল করতো হাওড়া জেলা পরিষদ। যদিও বর্তমানে জেলা পরিষদ তার দেখভালের অংশটুকু বেসরকারি সংস্থাকে লিজ দিয়ে দিয়েছে। বনদপ্তরের জায়গায় আমূল পরিবর্তনও করেছে। বর্তমানে এই পর্যটন কেন্দ্রের নাম হয়েছে গড়চুমুক জুওলজিক্যাল পার্ক।