ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়া (WB SSC Recruitment Case) বাতিল করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের মতে, এই প্রক্রিয়ায় ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ রয়েছে, যা নিয়োগের বিশ্বাসযোগ্যতাকে সম্পূর্ণরূপে সংকটে ফেলেছে। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের পাশাপাশি নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিয়েছে। এই প্রক্রিয়া তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ (WB SSC Recruitment Case)
এত বড় সংখ্যক চাকরি বাতিলের পেছনে মূল কারণ হল যোগ্যতা (WB SSC Recruitment Case) নির্ধারণের ক্ষেত্রে সমস্যা। ২০১৬ সালের এসএসসি-তে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে যোগ্য ও অযোগ্য বাছাই করা সম্ভব হয়নি। এর ফলে, নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে আগের নিয়োগের প্রার্থী যারা নতুন করে পরীক্ষা দিতে চাইবেন।
দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ (WB SSC Recruitment Case)
এর আগে কলকাতা হাই কোর্টও এই নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে, যার ফলে ২৫,৭৫৩ জন চাকরি হারান। পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অ্যাপিল করেছিল। তবে শীর্ষ আদালত হাই কোর্টের রায়কে বহাল রাখার পক্ষে ছিল, কারণ এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর।
আরও পড়ুন: Ram Navami: রামনবমীতে অশান্তি আশঙ্কা, রাম-বাম চক্রান্তকে নিশানা করে সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
কারচুপির তথ্য নেই কমিশনের কাছে
এই মামলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ছিল, যোগ্য এবং অযোগ্যদের মধ্যে পার্থক্য করা সম্ভব হবে কিনা। শুনানির সময় আদালত জানিয়েছিল, আসল তথ্য পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ সংশ্লিষ্ট ওএমআর শিট উদ্ধার করা যায়নি। কমিশনের আইনজীবী আদালতে জানিয়েছিলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ‘র্যাঙ্ক জাম্প’ ও প্যানেল-বহির্ভূত নিয়োগের তথ্য রয়েছে, তবে ওএমআর শিটের ক্ষেত্রে কারচুপির কোনও তথ্য কমিশনের কাছে নেই।

নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি
সিবিআইয়ের বক্তব্য ছিল, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে, যেখানে অনেকেই সাদা খাতা জমা দিয়েই চাকরি পেয়েছেন। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল, এত সংখ্যক শিক্ষকের চাকরি বাতিল হলে শিক্ষাব্যবস্থায় ভঙ্গি সৃষ্টি হবে।
ভাগ্য পরিবর্তনের আশা
২০১৬ সালের নিয়োগের প্রক্রিয়া বাতিলের সাথে সাথে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, যাঁরা চাকরি হারিয়েছেন, তাঁদের জন্য কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার সুযোগ থাকবে। এই পরিস্থিতিতে, চাকরি প্রার্থীরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের আশা করতে পারেন।