ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রাজ্যের ২৫ হাজার ৭৫২ জন (SSC 2016 Panel Cancel) শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে সেই চাকরি বাতিল হয়েছে। ভগবানগোলা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ২১ জন শিক্ষিকার চাকরি গেল এইদিন। ফলে চরম অনিশ্চয়তায় এই স্কুলের ভবিষ্যৎ। চিন্তায় প্রধান শিক্ষিকা।
‘আমরা মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত’ (SSC 2016 Panel Cancel)
সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ফলে চাকরি হারানো শিক্ষিকা পৃথা চক্রবর্তী বলেন, ‘‘দুর্নীতির তালিকায় আমাদের ২১ জনের নাম নেই। আমরা যোগ্য না অযোগ্য, সেটা আমরা জানি। যোগ্য হয়েও অযোগ্যদের মতো ব্যবহার মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমাদের আশা ছিল, এ রকম রায় আসতে পারে না। এ বার সে রকম রায় যখন এসেছে, আমরা সত্যিই আশাহত।’’ পৃথার কথায়, ‘‘এখন মাথায় আসছে না কী করব। আমরা দিশাহারা!’’ চাকরি হারানোর রায় শোনার পরে আর এক শিক্ষিকা পারমিতা মাহাতো বলেন, ‘‘আমরা মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত। আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে। ভেবে উঠতে পারছি না, কী করব?’’ যোগ্য-অযোগ্যের প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘অযোগ্য যদি হতাম, স্কুলে কি দাঁড়িয়ে থাকতাম?’’
‘পারদর্শিতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন’ (SSC 2016 Panel Cancel)
শুক্রবার থেকে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। স্কুলে শিক্ষিকার সংখ্যা সব মিলিয়ে ৬২ জন (SSC 2016 Panel Cancel)। এর মধ্যে ২১ জনের চাকরি চলে গেলে স্কুল কী ভাবে চলবে, সেই প্রশ্নই ঘুরছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা দীপান্বিতা রায়ের মনে। দীপান্বিতার কথায়, ‘‘পর্ষদের লিখিত নির্দেশ এখনও পাইনি। শুক্রবার থেকে পরীক্ষা। স্কুল যে বিপর্যস্ত, এ বিষয়ে কোনও দ্বিমত নেই। যে ২১ জনের চাকরি গিয়েছে, তাঁরা এত দিন পারদর্শিতার সঙ্গে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেছেন।’’
আরও পড়ুন: SSC 2016 Panel Cancel: বাতিল সম্পূর্ণ নিয়োগপ্রক্রিয়া, বেতন ফেরত দিতে হবে কাদের এবং কারা দেবেন না?
অনিশ্চয়তায় স্কুলের ভবিষ্যৎ
চাকরি হারানো শিক্ষিকারা চোখের জল ফেলতে ফেলতে জানান, তাঁরা কখনই কোনও অন্যায় বা দুর্নীতির মাধ্যমে এই চাকরি পাননি। বরং যারা দুর্নীতির মাধ্যমে চাকরি নিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলে ভাল হত। মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের পড়ুয়ার সংখ্যা কয়েক হাজার। এতজন শিক্ষিকার চাকরি একসঙ্গে বাতিল হলে স্কুল চলবে কী করে!অনিশ্চয়তায় স্কুলের ভবিষ্যৎ। বৃহস্পতিবার সকালে এই খবর আসতেই স্কুলে নেমে এসেছে চরম হতাশা ও শোকের ছায়া।