ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানা এলাকায় (Bagdah Murder Case) ঘটে গেল এক ভয়ঙ্কর ঘটনা। এক স্বামী কুপিয়ে খুন করলেন তাঁর স্ত্রীকেই। রান্না ছেড়ে প্রেমিকের সঙ্গে ভিডিয়ো কলে মত্ত সেই স্ত্রী। এই দেখে নিজেকে আর ঠিক রাখতে পারেননি তাঁর স্বামী প্রসেনজিৎ বিশ্বাস। তারপরেই স্ত্রী অর্পিতা বিশ্বাসকে কুড়ুলের কোপ মারেন তিনি বলে অভিযোগ। এর পরে তিনি নিজেও আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন বলে জানা গিয়েছে।
বাড়ি থেকে একা বেরিয়ে যেতেন (Bagdah Murder Case)
বছর সাতেক আগে অর্পিতার সঙ্গে বিয়ে হয় বাগদার কোলা গ্রামের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ-এর। তাঁদের পাঁচ বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে | অর্পিতা সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য ভিডিয়ো বানাতেন । সেই সূত্রে বেশ কয়েকজন যুবকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। তাঁরা রাতের দিকে প্রায়ই অর্পিতাকে মোবাইলে কল করেন (Bagdah Murder Case)। সেই সব পছন্দ করতেন না প্রসেনজিৎ। এই বিষয়টি নিয়ে পরিবারের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। তারই মধ্যে অর্পিতা মাঝেমধ্যে বাড়ি থেকে একা বেরিয়ে যেতেন। ফিরতেন রাত করে। তিনি অর্পিতাকে সন্দেহ করতে শুরু করেন।
গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা (Bagdah Murder Case)
প্রসেনজিৎ সন্দেহ করতেন, স্ত্রী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে পরিবারের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। আর রবিবার সকালে রান্না করার সময়ে স্ত্রীকে ভিডিয়ো কলে ব্যস্ত থাকতে দেখেই আচমকা কুড়ুল নিয়ে সেখানে চড়াও হন প্রসেনজিৎ (Bagdah Murder Case)। এর পর থানায় ফোন করে সব কিছু জানিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করেন তিনি।
আরও পড়ুন: Supreme Court: যোগ্যদের চাকরি বহাল থাকুক, সুপ্রিম কোর্টে আর্জি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের!
রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে বধূ
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে রান্না করছিলেন তিনি। হঠাৎ চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখেন, রান্নাঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই বধূ। সেখানে কুড়ুল হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন প্রসেনজিৎ। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় অর্পিতার। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছোয় বাগদা থানার পুলিশ। গ্রেফতার করে প্রসেনজিৎকে।
‘অন্য কারও সঙ্গে সংসার পাতবেন’
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী গোকুল মণ্ডল বলেন, ‘‘সমাজমাধ্যমে অন্য পুরুষের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল বধূর। মাঝেমধ্যেই ঝামেলা হত দু’জনের। প্রতিবেশীরা বুঝিয়েসুঝিয়ে মিটিয়েছিলেন।” প্রসেনজিতের মা সরস্বতী বিশ্বাস বলেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিয়ো বানাতে গিয়ে তাঁর পুত্রবধূর সঙ্গে অন্য পুরুষের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। অর্পিতা মাঝেমধ্যেই প্রসেনজিৎকে বলতেন, অন্য কারও সঙ্গে সংসার পাতবেন। সেই নিয়ে ছেলে ও পুত্রবধূর মধ্যে অশান্তি হতো। কিন্তু তার যে এত বড় ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে, তা তিনি কল্পনা করতে পারেননি।