ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের বহড়াদাঁড়ি জুনিয়র হাই স্কুলে (SSC 2016 Panel Cancel) পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়া ৪০ জন। তবে শিক্ষক ছিলেন এক জনই। আদালতের নির্দেশে চাকরিহারা তিনিও। চাকরি হারানোর খবর পেলেও গত শনিবার পর্যন্ত স্কুলে এসেছিলেন একমাত্র শিক্ষক কিসুন বেসরা। তবে সোমবার কিসুন গিয়েছিলেন নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায়। এ দিকে, স্কুলে এখন পার্বিক মূল্যায়ন চলছে। এই সঙ্কটজনক অবস্থায় স্কুলের পাশে দাঁড়ালেন অবসরপ্রাপ্ত অতিথি শিক্ষক।
চলতি বছরে ৩১ মার্চ অবসর নেন (SSC 2016 Panel Cancel)
এক সময় স্কুলে শিক্ষক ছিলেন দু’জন। ইতিহাসের শিক্ষক কিসুন বেসরা ও ইংরেজির শিক্ষক শান্তনু পাল। কয়েক বছর আগে শান্তনুকে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক গোপীবল্লভপুর-২ ব্লকের ভোল জুনিয়র হাই স্কুলে পাঠিয়ে দেন। ফলে, স্কুলে একাই শিক্ষক হিসেবে ছিলেন কিসুন বেসরা। তিনিই বিভিন্ন মহলে দরবার করে দু’জন অতিথি শিক্ষককে স্কুলে নিয়োগ করিয়েছিলেন (SSC 2016 Panel Cancel)। তাঁদের মধ্যে এক জন গত বছর এবং চলতি বছরে ৩১ মার্চ অবসর নেন অজিতকুমার ভুঁইয়া।
পরীক্ষা মিটে গেলে স্কুলে আসবেন না (SSC 2016 Panel Cancel)
স্কুলে এখন পার্বিক মূল্যায়ন চলছে। অবস্থা জেনে পাশে দাঁড়ান অবসরপ্রাপ্ত অতিথি শিক্ষক অজিতকুমার ভুঁইয়া (SSC 2016 Panel Cancel)। তিনিই এ দিন পরীক্ষা নিয়েছেন। আজ, মঙ্গলবারও নেবেন। তবে পরীক্ষা মিটে গেলে আর স্কুলে আসবেন না বলে জানিয়েছেন। ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের বহড়াদাঁড়ি জুনিয়র হাই স্কুলে চাকরি হারানোর খবর পেলেও গত শনিবার পর্যন্ত স্কুলে এসেছিলেন একমাত্র শিক্ষক কিসুন বেসরা। তবে সোমবার কিসুন গিয়েছিলেন নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায়। সেই কারণেই তিনি অবসর প্রাপ্ত হয়েও দাঁড়িয়েছেন স্কুলের পাশে।
আরও পড়ুন: CM Meeting on SSC Scam: কারও চাকরি যাবে না, ‘সুপ্রিম’ রায়ে চাকরিহারাদের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
‘মানবিকতার খাতিরে স্কুলে আসছি’
অজিত বলেন, ‘‘মানবিকতার খাতিরে স্কুলে আসছি। তবে মঙ্গলবার পরীক্ষা শেষে আর আসব না। অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের হাতে দায়িত্ব সমর্পণ করে দেব।’’ কিসুন বলছেন, ‘‘সমস্যার কথা বার বার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে (মাধ্যমিক) জানিয়েছি। লাভ হয়নি।’’ রোহিণী চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক রঞ্জিত সরেনের বক্তব্য, ‘‘অজিতবাবুকে দু’দিন পরীক্ষা নিতে বলেছি। তার পরে কী হবে জেলা শিক্ষা দফতর জানে।’’ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক শক্তিভূষণ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘শিক্ষক পাওয়া খুব মুশকিল। কী যে করা যায়!’’ বিদ্যালয় পরিদর্শকের অনুরোধে স্কুলে এসেছিলেন অজিত। একাই পরীক্ষা নেওয়া থেকে মিডডে মিল খাওয়ানো সামলেছেন অজিত বাবু।