ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শুল্কনীতি নিয়ে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার (US Tariff War) আবহে চীন সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়াকে আমেরিকার বিরুদ্ধে একটি যৌথ ফ্রন্ট গঠনের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সেই প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে বরং স্পষ্ট ভাষায় নিজেদের অবস্থান জানিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া। প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁর দেশ শুধুমাত্র জাতীয় স্বার্থের দিকেই অগ্রাধিকার দেবে, অন্য কোনও দেশের রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডার শরিক হবে না।
আন্তর্জাতিক ঐক্য গড়ে তোলা জরুরি (US Tariff War)
চীনের রাষ্ট্রদূত শিয়াও কিয়ানের সাম্প্রতিক এক মন্তব্যে উঠে (US Tariff War) এসেছিল আমেরিকার ‘একাধিপত্যমূলক আচরণ’-এর বিরুদ্ধাচরণ করার আহ্বান। তিনি বলেছিলেন, এই আচরণ রুখতে আন্তর্জাতিকভাবে ঐক্য গড়ে তোলা জরুরি এবং পরোক্ষভাবে অস্ট্রেলিয়াকেই এই জোটে যোগ দেওয়ার বার্তা দেন। তবে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিক্রিয়া থেকে স্পষ্ট, তারা আমেরিকান ঘনিষ্ঠতার পথেই থাকবে।
‘কোয়াড’ নামের কৌশলগত জোটের সদস্য অস্ট্রেলিয়া (US Tariff War)
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়া বর্তমানে ‘কোয়াড’ নামের কৌশলগত জোটের সদস্য, যেখানে যুক্ত রয়েছে (US Tariff War) ভারত, আমেরিকা ও জাপানও। এই জোট মূলত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের সম্প্রসারণবাদী নীতির মোকাবিলায় সক্রিয়। সেই অবস্থান থেকে বিচ্যুতি ঘটানো যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সম্ভব নয়, তা আরও একবার বোঝা গেল।
ফেন্টানাইল-সংক্রান্ত বিতর্ক
এই কূটনৈতিক টানাপড়েনের মধ্যেই আরও এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে প্রথম ভাষণে ট্রাম্প জানান, চীনা পণ্যের উপর শুল্ক ১২৫ শতাংশে বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে পরে ‘সিএনবিসি’-র একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়, ফেন্টানাইল-সংক্রান্ত বিতর্কের কারণে চীনের উপর আগে থেকেই ২০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক ছিল। ফলে নতুন ১২৫ শতাংশ যুক্ত হয়ে মোট শুল্ক দাঁড়িয়েছে ১৪৫ শতাংশ।
আমেরিকান বাজারে চীনের লড়াই
হোয়াইট হাউসের এক আধিকারিক বিষয়টি স্পষ্ট করে বলেন, আগে ধার্য ২০ শতাংশ শুল্কের উপরেই নতুন শুল্ক বসানো হয়েছে। তাই বেজিং থেকে আমদানি হওয়া পণ্যের ক্ষেত্রে আমেরিকান বাজারে চীনের লড়াই আরও কঠিন হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন: US Helicopter Crash: নিউ ইয়র্কে ভয়াবহ কপ্টার দুর্ঘটনা, মৃত্যু সিমেন্স কর্তার-সহ ছ’জনের!
পাল্টা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত
এদিকে, এই সিদ্ধান্তের জবাবে চীনও পাল্টা শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বেজিং জানিয়েছে, মার্কিন পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক বসানো হবে। একই সঙ্গে চীন জানিয়ে দিয়েছে, তারা আলোচনায় প্রস্তুত, তবে ‘ব্ল্যাকমেল’ বা চাপে ফেলে সমঝোতার পথ তারা নেবে না।