ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শিয়ালদহ ডিভিশনের ট্রেনে মহিলা কামরা কেন বাড়ানো হল? প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন নিত্যযাত্রীরা। বুধবার সকাল থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক স্টেশনে রেল অবরোধ (Rail Strike) করে বিক্ষোভ দেখান পুরুষ যাত্রীদের একাংশ। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ট্রেন চলাচল। চূড়ান্ত ভোগান্তির মুখে পড়েন অফিসযাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ।
দক্ষিণ বারাসত, ধপধপি, মথুরাপুর—একাধিক স্টেশনে যাত্রীরা লাইনে বসে পড়েন। হাতে প্ল্যাকার্ড, মুখে স্লোগান—“ফাঁকা মহিলা কামরা নয়, ভরা কামরা চাই!” পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আরপিএফ। প্রভাব পড়ে লক্ষ্মীকান্তপুর, নামখানা ও কাকদ্বীপ লাইনে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা পরিষেবা বন্ধ থাকার পর সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ধীরে ধীরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee : ‘নতুন বছর এসো মিষ্টি করে’, স্বরচিত গানে রাজ্যবাসীকে নববর্ষের ‘শুভনন্দন’ মমতার
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ স্পষ্ট (Rail Strike)
“আগে যেখানে এক-একটি মহিলা কামরা ছিল সামনে ও পিছনে, এখন একাধিক কামরা বরাদ্দ করা হয়েছে শুধু মহিলাদের জন্য। কিন্তু এই কামরাগুলো বেশিরভাগ সময় খালি যায়। আর পুরুষ যাত্রীদের ঠাসাঠাসি ভিড়ে দাঁড়ানো দায়!”
রেলের যুক্তি—নারী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বাড়ানো হয়েছে মহিলা কামরা। কিন্তু যাত্রীদের পাল্টা প্রশ্ন—“নিরাপত্তা জরুরি, ঠিক। কিন্তু সেটা যেন অন্য যাত্রীদের বিপদের কারণ না হয়।”
আরও পড়ুন: Yogi Adityanath On Murshidabad: ‘মুসলিম জনতাকে ভুল বোঝাচ্ছেন বিরোধীরা’ মুর্শিদাবাদ প্রসঙ্গে যোগী
অবরোধেরে (Rail Strike) জেরে প্রভাব পড়ে কাকদ্বীপ, নামখানা, লক্ষ্মীকান্তপুর লাইনে। বারুইপুর, সোনারপুর, ডায়মন্ড হারবার লাইনে পরিষেবা সচল থাকলেও দক্ষিণ শাখার মূলত তিনটি লাইনে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। প্ল্যাটফর্মে অসহায় যাত্রীরা—অনেকে অফিসে পৌঁছাতে পারেননি, কেউ ফিরেছেন ঘরে।
এখন প্রশ্ন, রেল কী এই সিদ্ধান্তে পুনর্বিবেচনা করবে? যাত্রীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—চাহিদা না মানলে আরও বড়সড় আন্দোলনের পথে হাঁটবেন তাঁরা।