ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: নোংরা মানসিকতার সীমা কোথায় গিয়ে পৌঁছতে (Obscene Video Record) পারে, তা আবারও প্রমাণ করল মহারাষ্ট্রের পুণেতে ঘটে যাওয়া এক ভয়ঙ্কর ও ঘৃণ্য ঘটনা। নিজের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক আড়াল করতে গিয়ে নিজেরই ১৪ বছরের কিশোরী মেয়ের স্নানের ও পোশাক পরিবর্তনের ভিডিও করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিলেন এক ৩৬ বছরের মহিলা। সহযোগিতায় ছিল তাঁর ২৪ বছরের প্রেমিক। অবশেষে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করেছে খড়কওয়াসলা এলাকা থেকে।
ভয়ঙ্কর এক পরিকল্পনা! (Obscene Video Record)
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মহিলা ও তাঁর স্বামী (Obscene Video Record) পেশায় ঠিকা শ্রমিক। মহিলার প্রেমিকও দিনমজুর। বছরখানেক আগে থেকেই মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের খবর জানতে পারে তাঁর মেয়ে। সেই তথ্য মেয়েটি পরিবারের এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয় তথা বাড়ির মালিককে জানিয়ে দেয়। সেই খবর পৌঁছে যায় মায়ের কানে। এরপরই শুরু হয় ভয়ঙ্কর এক পরিকল্পনা।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Obscene Video Record)
অভিযোগ, মেয়েকে চুপ করাতে এবং পরিবারের মনোযোগ নিজের দিক থেকে (Obscene Video Record) সরিয়ে নিতে, কিশোরীর স্নান করার এবং পোশাক পরিবর্তনের দৃশ্য লুকিয়ে মোবাইলে রেকর্ড করেন ওই মহিলা। পরে সেই ভিডিও পাঠিয়ে দেন তাঁর প্রেমিককে। শুধু তাই নয়, প্রেমিকের সহযোগিতায় ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
মা ও মায়ের প্রেমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের
সবকিছু ফাঁস হয় যখন কিশোরীকে এক আত্মীয়া ফোন করে জানান, তাঁর কাছে ওই ভিডিওটি এসেছে। ভিডিও দেখে মেয়েটি নিশ্চিত হয়—এই দৃশ্য কেবল তার মা-ই রেকর্ড করতে পারে। সঙ্গে সঙ্গে সে স্থানীয় থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে নিজের মা ও মায়ের প্রেমিকের বিরুদ্ধে।
গ্রেফতার করেছে পুলিশ
এই ঘটনা ঘটে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে। কিন্তু পুলিশের কাছে অভিযোগ জানার পরই খবর পেয়ে পুণে ছেড়ে পালিয়ে যান অভিযুক্ত যুগল। তিন মাস ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ চালায় পুণে পুলিশ। অবশেষে গত শনিবার খবর আসে, খড়কওয়াসলার একটি ছোট হোটেলে রয়েছেন ওই দুই অভিযুক্ত। সেখান থেকেই তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
কাজের যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তেই এই জঘন্য কাজের যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। অভিযুক্তদের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে পাঠানো হয়েছে ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য। পাশাপাশি, ভিডিওটি কীভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল, তার প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণও শুরু হয়েছে।
সামাজিক নৈতিকতার সম্পূর্ণ বিপরীতে দাঁড়িয়ে এই ঘটনা স্তম্ভিত করেছে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও। পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীর নিরাপত্তা ও মানসিক সুস্থতা রক্ষা করতে সমস্তরকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঘটনাটি সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠেছে, কোনও মা কীভাবে নিজের সন্তানকে এমন নৃশংসতার শিকার করতে পারেন? সমাজে এই ধরনের অপরাধ ঠেকাতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবিও উঠছে।