ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমানে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে একটি বিতর্কিত পরিকল্পনা—নতুন ‘রিফাইন্ড’ বা ‘নব্য’ আওয়ামী লীগ গঠনের প্রয়াস (Sheikh Hasina)। শেখ হাসিনা ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের বাদ দিয়ে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির কিছু নেতা-নেত্রীকে সামনে এনে আওয়ামী লীগকে নতুনভাবে পুনর্গঠনের এই পরিকল্পনা রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন তুলেছে।
সম্ভাব্য মুখ কারা? (Sheikh Hasina)
প্রতিবেদন অনুসারে, প্রাক্তন স্পিকার শিরিন শরমিন চৌধুরী, ঢাকার প্রাক্তন মেয়র শেখ ফজলে নুর তাপস এবং প্রাক্তন সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরীর মতো নেতাদের নাম ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’-এর সম্ভাব্য মুখ হিসেবে ঘুরছে(Sheikh Hasina)। সদ্য গঠিত জাতীয় নাগরিক দল (এনসিপি)-র নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেছেন, সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামান নাকি একটি গোপন বৈঠকে এই পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন।
দলকে ধ্বংসের চক্রান্ত (Sheikh Hasina)
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই প্রচেষ্টাকে ‘প্রতারণা’ এবং ‘দলকে ধ্বংসের চক্রান্ত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন (Sheikh Hasina)। দলের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, “এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য জনগণকে বিভ্রান্ত করা এবং শেখ হাসিনাহীন আওয়ামী লীগ গঠন করে মূল সংগঠনকে নিঃশেষ করা।” তাঁর মতে, ২০০৬ সালের সেনা-সমর্থিত সরকারের সময়েও এ ধরনের প্রচেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু তা ব্যর্থ হয়েছে।

পাকিস্তান-ঘনিষ্ঠ নেতাদের প্রভাব (Sheikh Hasina)
এই পরিস্থিতিতে ভারতের ভূমিকাও আলোচনায় এসেছে (Sheikh Hasina)। দিল্লির একাংশ কূটনীতিক মনে করেন, শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে আওয়ামী লীগ যদি পাকিস্তান-ঘনিষ্ঠ নেতাদের হাতে চলে যায়, তা হলে তা ভারতের কৌশলগত স্বার্থের পরিপন্থী হবে। কারণ, আওয়ামী লীগ ঐতিহাসিকভাবে ভারতের নির্ভরযোগ্য বন্ধু। ভারতের এক প্রাক্তন কূটনীতিক বলেন, “আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করা হলে, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও সম্পর্কের ভারসাম্য ভেঙে পড়বে।”

আরও পড়ুন: US China Tariff War : “এগোতে হবে বেজিংকেই” শুল্ক সমঝোতা নিয়ে চিনের উপর দায় চাপালেন ট্রাম্প!
হাসিনার বিরুদ্ধে বলার প্রস্তাব (Sheikh Hasina)
অন্যদিকে, দলের অভ্যন্তরেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। কলকাতায় আত্মগোপনে থাকা এক নেতা জানান, বিভিন্ন জেলার নেতাদের হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের নিরাপত্তা ও নির্বাচনে অংশগ্রহণের আশ্বাসও দেওয়া হচ্ছে। এই নেতা আরও দাবি করেন, যাঁদের পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির নেতা হিসেবে প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে, তাঁদের অনেকেই আসলে চীন বা পাকিস্তানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে ব্যবসায় জড়িত।
চুপ নেই হাসিনাও (Sheikh Hasina)
তবে শেখ হাসিনাও চুপ করে নেই। তিনি ভার্চুয়াল বৈঠকের মাধ্যমে ৬৪ জেলার মধ্যে ২৩টি জেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা বলেছেন। এসব বৈঠকে তিনি বলেছেন, “আমি দেশ ছাড়তে চাইনি। আমাকে জোর করে দেশছাড়া করা হয়েছে। চক্রান্ত করে সরকার ফেলা হয়েছে। এর শেষ দেখে ছাড়ব।”এই সংকট বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক অনিশ্চিত অধ্যায়ের সূচনা করেছে। নব্য আওয়ামী লীগ গঠনের প্রচেষ্টা কতটা সফল হবে, তা সময়ই বলবে। তবে শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোভাব এবং দলীয় ঐক্য বজায় রাখতে তাঁর কৌশল রাজনীতির ময়দানে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।