ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: উত্তর কোরিয়া আরও একবার তার সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর বার্তা দিল বিশ্বকে। এবার লক্ষ্য সমুদ্রপথ (North Korea Warship)। উপগ্রহচিত্রে ধরা পড়েছে, দেশটির পশ্চিম উপকূলের নাম্পো নৌসেনা ঘাঁটিতে তৈরি হচ্ছে একটি অত্যাধুনিক বিশাল রণতরী। আমেরিকার সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ় (CSIS) সম্প্রতি এই উপগ্রহচিত্র প্রকাশ করে জানিয়েছে, এই নির্মীয়মাণ রণতরীটি উত্তর কোরিয়ার ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ।
বিশাল আকার রণতরী (North Korea Warship)
উপগ্রহচিত্র অনুযায়ী, রণতরীটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪৫৯ ফুট, যা উত্তর কোরিয়ার প্রচলিত রণতরীগুলির তুলনায় অনেকটাই বড় (North Korea Warship)। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রণতরী সম্ভবত হেলিকপ্টার বহনে সক্ষম। যদি এই অনুমান সত্যি হয়, তবে এটি হবে উত্তর কোরিয়ার নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত দ্বিতীয় হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার। এর আগে কেবল একটি রণতরীর মধ্যেই হেলিকপ্টার ওঠানামার ব্যবস্থা ছিল। এই নতুন রণতরী তার থেকে অনেক উন্নত ও বহুমুখী ব্যবহারের উপযোগী বলেই ধারণা।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় সক্ষম (North Korea Warship)
রণতরীর আকার এবং গঠন বিশ্লেষণ করে অনেকেই মনে করছেন, এতে সমুদ্রপথে ও স্থলপথে সমান ভাবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর সক্ষমতা থাকবে (North Korea Warship)। এর মানে, এটি হতে পারে একটি মাল্টিরোল যুদ্ধজাহাজ—যা শুধু প্রতিরক্ষা নয়, আক্রমণাত্মক অভিযানেও ব্যবহার করা যাবে। যদিও এটি আমেরিকার আর্লেই বার্ক শ্রেণির (দৈর্ঘ্য ৫০৫ ফুট) বা কনস্টিলেশন শ্রেণির (৪৯৬ ফুট) রণতরীর চেয়ে আকারে কিছুটা ছোট, তবু উত্তর কোরিয়ার মতো দেশের জন্য এটি একটি বড় অগ্রগতি।

স্যাটেলাইট থেকেও চিহ্নিত সহজ নয় (North Korea Warship)
রণতরীটি এমন ভাবে আবৃত রাখা হয়েছে যাতে স্যাটেলাইট থেকেও সহজে চিহ্নিত না হয় (North Korea Warship)। এই গোপনীয়তা থেকে স্পষ্ট, রণতরীটির গুরুত্ব কতখানি। বিশ্লেষকদের মতে, উত্তর কোরিয়া বর্তমানে প্রযুক্তির দিক থেকেও নিজেদের ধারালো করতে তৎপর। দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত এই জাহাজ পশ্চিমের ওপর নির্ভরশীলতা হ্রাস করার পাশাপাশি কিম জং উনের স্বনির্ভর সামরিক দৃষ্টিভঙ্গিকেও তুলে ধরে।

কৌশলগত বার্তা (North Korea Warship)
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রণতরী শুধু প্রতীকী সামরিক শক্তি নয়, বরং একটি কৌশলগত বার্তা (North Korea Warship)। এটি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, উত্তর কোরিয়া শুধু পারমাণবিক শক্তি নয়, সমুদ্রপথেও আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। আমেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার নৌসেনার উপস্থিতি যে অঞ্চলে ক্রমশ বাড়ছে, সেখানে উত্তর কোরিয়ার এই প্রস্তুতি নতুন করে উত্তেজনার জন্ম দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন: US Military AirBase : ভারত মহাসাগর কাঁপাচ্ছে মার্কিন বোমারু জেট! ড্রাগেনের আগ্রাসন রুখতে পদক্ষেপ?
আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মহলে আবারও উদ্বেগ বেড়েছে। বিশেষ করে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকা এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ওপর নতুন করে নজরদারি বাড়ানোর পথে হাঁটতে পারে। অন্যদিকে, কিম জং উনের (Kim Jong Un) এই পদক্ষেপ উত্তর কোরিয়ার আত্মনির্ভরতা এবং প্রতিরক্ষার শক্তিশালী বার্তা হিসেবেই দেখা হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত সামরিক কৌশলের ইঙ্গিত দিতে পারে।