ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শনিবার সকালেই ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল (Earthquake in Myanmar) ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। অসমের নগাঁও এলাকায় সকাল ৭টা ৩৮ মিনিটে অনুভূত হয় মৃদু ভূমিকম্প। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির (NCS) তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ২.৯। ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল নগাঁও এলাকা, তবে আশপাশের এলাকাতেও কম্পন অনুভূত হয়। যদিও কম তীব্রতার কারণে কোনও প্রাণহানি বা বড়সড় ক্ষতির খবর নেই।
মাঝারি তীব্রতার কম্পন (Earthquake in Myanmar)
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কম্পন অনুভূত হতেই আতঙ্কে অনেকেই ঘর ছেড়ে (Earthquake in Myanmar) বাইরে বেরিয়ে আসেন। উত্তর-পূর্ব ভারত ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল হওয়ায় মাঝেমধ্যেই এখানে মৃদু থেকে মাঝারি তীব্রতার কম্পন ঘটে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভূতাত্ত্বিক সক্রিয়তা হিসেবে এ ধরনের কম্পন স্বাভাবিক এবং যদি তীব্রতা সীমার মধ্যে থাকে, তা হলে আতঙ্কের কিছু নেই।
শুক্রবার রাতে ভূমিকম্প (Earthquake in Myanmar)
এই ঘটনার একদিন আগেই, শুক্রবার রাতে ভূমিকম্পে কাঁপে (Earthquake in Myanmar) মায়ানমার। মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দু’টি কম্পন অনুভূত হয় প্রতিবেশী দেশটিতে। প্রথম ভূমিকম্পটি রাত ১১টা ৪ মিনিট ৬ সেকেন্ডে এবং দ্বিতীয়টি ১১টা ৩১ মিনিট ২৩ সেকেন্ডে হয়। প্রথমটির তীব্রতা ছিল ৩.৬ এবং দ্বিতীয়টির ৩.৭। মায়ানমারের বহু মানুষ এখনও আগের ভয়াবহ ভূমিকম্পের ট্রমা থেকে পুরোপুরি বেরোতে পারেননি। সেই স্মৃতি এখনও টাটকা। ফলে নতুন করে ভূমিকম্প অনুভূত হতেই স্থানীয়রা আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসেন।
যথেষ্ট শক্তিশালী ভূমিকম্প
মায়ানমারের আগের সেই বিধ্বংসী ভূমিকম্পে প্রাণ হারিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। তাই অল্প তীব্রতার হলেও নতুন ভূমিকম্পে আতঙ্ক আরও জাঁকিয়ে বসে সাধারণ মানুষের মনে। অন্যদিকে, ভূমিকম্পে কেঁপেছে আফগানিস্তানও। দুই দিন আগেই, হিন্দুকুশ পর্বতমালার কাছে রিখটার স্কেলে ৫.৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ভূমিকম্পটি হয়েছিল ৭৫ কিলোমিটার গভীরে, যা এই ধরনের কম্পনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়। যদিও কোনও হতাহতের খবর মেলেনি, তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এত গভীরে হলেও ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্প যথেষ্ট শক্তিশালী, এবং বিশেষ করে কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি এলাকায় গুরুতর ক্ষতি করতে পারে।

ভূগর্ভস্থ সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন
ক্রমাগত বিভিন্ন অঞ্চলে একের পর এক ভূমিকম্পের ঘটনা ভূগর্ভস্থ সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। বিশেষজ্ঞরা এই পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক বললেও সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছেন। ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের মানুষদের মধ্যে সচেতনতা এবং প্রস্তুতির গুরুত্ব এই পরিস্থিতিতে আরও বেড়ে গেল।
আরও পড়ুন: Srijit Mukherji: কাজের চাপ নাকি অনিয়ন্ত্রিত জীবন? কেন অসুস্থ সৃজিত? যা জানা গেল….
বর্তমানে উত্তর-পূর্ব ভারত, বিশেষ করে অসম, নাগাল্যান্ড, মেঘালয় সহ মায়ানমার সীমান্তবর্তী অঞ্চল ভূমিকম্পের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত। ভবিষ্যতের জন্য এই এলাকাগুলিতে পরিকাঠামোগত পরিকল্পনার ক্ষেত্রে আরও সাবধানতা অবলম্বনের তাগিদ দিচ্ছেন ভূতাত্ত্বিকেরা।