ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: চিকিৎসা করাতে গিয়ে চরম (Digital Assault Case) অপমান ও ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার হতে হল এক মহিলাকে। গুরুগ্রামের এক নামী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’-এর অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়াল দেশজুড়ে। ভুক্তভোগী বিমানসেবিকার অভিযোগে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে এক প্রযুক্তিকর্মীকে। ঘটনার বিবরণে উঠে আসছে হাসপাতালের নার্সদের ভূমিকা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন।
১৪ তারিখ থানায় অভিযোগ (Digital Assault Case)
পুলিশ সূত্রে খবর, হোটেলের সুইমিং পুলে সাঁতার কাটার (Digital Assault Case) সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন ৪৬ বছর বয়সি ওই বিমানসেবিকা। ট্রেনিংয়ের কাজে গুরুগ্রামে অবস্থান করছিলেন তিনি। অসুস্থ অবস্থায় গত ৫ এপ্রিল তাঁকে ভর্তি করা হয় গুরুগ্রামের একটি বিখ্যাত হাসপাতালে। ১৩ এপ্রিল ছুটি পেয়ে বেরিয়ে আসার পর ১৪ তারিখ থানায় অভিযোগ করেন তিনি।
আইসিইউ-তে অর্ধচেতন অবস্থা (Digital Assault Case)
অভিযোগে ‘নির্যাতিতা’ জানান, চিকিৎসার সময় তিনি আইসিইউ-তে অর্ধচেতন (Digital Assault Case) অবস্থায় ছিলেন। সেই অবস্থায় তাঁকে যৌন হেনস্থার শিকার হতে হয়। তাঁর দাবি, হাসপাতালের দু’জন নার্স পোশাক পরিবর্তনের অজুহাতে তাঁর শরীরে পুরুষ সহকর্মীকে স্পর্শ করতে সহায়তা করেন। চাদরের আড়ালে তাঁর কোমর ও শরীরের অন্যান্য অংশ নিয়ে মন্তব্য চলতে থাকে, এবং পরে এক পুরুষ হাসপাতালকর্মী তাঁর শরীরে হাত দেয় বলে অভিযোগ।
‘ডিজিটাল ধর্ষণ’-এর মামলা
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’-এর মামলা রুজু করে। আধুনিক আইন অনুযায়ী, কোনও মহিলার যৌনাঙ্গে হাত বা আঙুল প্রবেশ করানোকে ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’ বলা হয়। যদিও এই অপরাধ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় নির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত নয়, তবে ১৯৫৮ সালের আইন এবং ২০১২ সালের পকসো আইনের নিরিখে এটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়।
হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। সেখানেই ধরা পড়ে অভিযুক্তের গতিবিধি। ওই প্রযুক্তিকর্মী বিহারের মুজফ্ফরপুরের বাসিন্দা। মাস পাঁচেক আগে তিনি গুরুগ্রামের ওই হাসপাতালে আইসিইউ বিভাগে কাজে যোগ দেন। সিসিটিভি ও অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়েছে।
হাসপাতালের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে
অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। শনিবার তাকে আদালতে পেশ করা হয়। পাশাপাশি হাসপাতালের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: Earthquake in Myanmar: পাশাপাশি কম্পন মায়ানমার-আফগানিস্তানে, বাড়ছে উদ্বেগ
এই ঘটনায় হাসপাতালের গাফিলতি ও স্বাস্থ্য পরিষেবার নৈতিক দায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। যেখানে চিকিৎসা পাওয়ার কথা, সেখানে এমন নির্যাতনের শিকার হওয়ায় উদ্বেগ বাড়ছে দেশজুড়ে। নারী নিরাপত্তা, হাসপাতালের মনিটরিং এবং আইসিইউ-র নজরদারির প্রশ্ন আবারও সামনে এনে দিল গুরুগ্রামের এই ঘটনা।