ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের কাটনি জেলার এক সরকারি প্রাথমিক (Viral Video) বিদ্যালয়ে চাঞ্চল্যকর এক ঘটনা সামনে এসেছে। এক শিক্ষক, যিনি শিক্ষাদানের মত গুরু দায়িত্বে নিযুক্ত, তাঁকে দেখা গিয়েছে ক্লাস চলাকালীন খুদে পড়ুয়াদের হাতে মদের কাপ তুলে দিতে। শুধু তাই নয়, ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে আরও দেখা যাচ্ছে, ওই শিক্ষক ছাত্রদের বলছেন মদে যেন জল মিশিয়ে খায়! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করে।
প্রশাসনের তরফে কঠোর পদক্ষেপ (Viral Video)
অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম লাল নবীন (Viral Video) প্রতাপ সিং। তিনি কাটনি জেলার এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, তিনি নিজের হাতে কাপে মদ ঢালছেন এবং ছাত্রদের হাতে তা তুলে দিচ্ছেন। এমন দৃশ্য চোখে পড়ার পরই শিক্ষামহল এবং প্রশাসনের তরফে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু (Viral Video)
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই জেলাশাসক দিলীপ কুমার যাদব (Viral Video) বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখেন। তিনি জেলা শিক্ষা আধিকারিক ওপি সিংকে নির্দেশ দেন অবিলম্বে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে। সেই অনুযায়ী, আচরণবিধি ভঙ্গ, শিক্ষকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের মদ্যপান করতে উৎসাহিত করার অভিযোগে লাল নবীন প্রতাপ সিংকে সাসপেন্ড করা হয়। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্তও শুরু হয়েছে।
অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার
এই ঘটনার পর অভিভাবকদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। যে শিক্ষক শিশুমন গঠনের দায়িত্বে থাকেন, তাঁর কাছ থেকে এমন অপ্রত্যাশিত আচরণ সমাজে শিক্ষার পরিবেশকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করায়।

চিকিৎসকদের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন
এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই উত্তরপ্রদেশ থেকেও উঠে এল এক রোমহর্ষক অভিযোগ। সেখানকার এক চিকিৎসক, যাঁর পেশাই রোগ নিরাময়, তিনি নাকি সর্দি-কাশির চিকিৎসা করাতে আসা এক শিশুকে জোর করে ধূমপান করান। এই ঘটনা সমাজে চিকিৎসকদের দায়িত্ববোধ নিয়েও প্রশ্ন তুলছে।
আরও পড়ুন: Digital Assault Case: বিমানসেবিকার ‘ডিজিটাল ধর্ষণ’, ভিনরাজ্য়ের হাসপাতালে আক্রান্ত বাংলার মেয়ে!
এই ধরনের ঘটনায় সমাজে নৈতিকতার অবক্ষয় এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতার চিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে। শিশুদের নিরাপদ ও সুস্থ পরিবেশে শিক্ষাদান ও চিকিৎসা দেওয়ার দায়িত্ব যাঁদের কাঁধে, তাঁদের থেকেই এমন আচরণ অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। প্রশাসনের তরফে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হলেও, সমাজের তরফে আরও সচেতন হওয়া ও নজরদারি বাড়ানোই এখন সময়ের দাবি।