Last Updated on [modified_date_only] by Debu Das
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বিশ্ব বাণিজ্য মঞ্চে ফের একবার আলোচনার কেন্দ্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। শুল্ক যুদ্ধের আবহে এবার তিনি সামনে এনেছেন এক নতুন বিতর্ক—‘শুল্ক-বহির্ভূত অপরাধ’-এর একটি তালিকা। ২০১৮ সাল থেকে শুল্কবিরোধী নানা পদক্ষেপে সক্রিয় ট্রাম্প প্রশাসন এবার আটটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে ‘অপরাধ’ হিসেবে চিহ্নিত করে বিভিন্ন দেশকে সতর্ক করেছে। এই অপরাধগুলির মধ্যে রয়েছে ইচ্ছাকৃত মুদ্রার হার বদল, আমদানি-ভ্যাট, রফতানিতে ভর্তুকি, প্রতিরক্ষামূলক প্রযুক্তি ও কৃষি নীতি, জাল নোট তৈরি, পাইরেসি, এবং কৌশলে শুল্ক এড়ানো।
শুল্ক-বহির্ভূত অপরাধ (Donald Trump)
এই ঘোষণা এমন এক সময় এল, যখন আমেরিকা কিছু দেশের উপর নতুন শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রেখেছে (Donald Trump)। তবে চিনের প্রতি ট্রাম্পের অবস্থান আরও কঠোর। চিনা পণ্যের উপর শুল্ক ১৪৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৪৫ শতাংশ করার কথা জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। ফলে, এই শুল্ক-বহির্ভূত অপরাধের হুঁশিয়ারি একপ্রকার বার্তা—শুধু আমদানি শুল্কই নয়, অন্যান্য কৌশলগত নীতিও যদি মার্কিন স্বার্থের পরিপন্থী হয়, তবে আমেরিকা তার প্রতিক্রিয়া জানাতে দ্বিধা করবে না।
প্রতিযোগিতার প্রতিবন্ধকতা (Donald Trump)
বিশ্লেষকদের মতে, এই নীতি একদিকে যেমন আমেরিকান শিল্প ও উৎপাদকদের রক্ষা করার একটি প্রয়াস, তেমনি অন্যদিকে এটি বিশ্ব বাণিজ্যের উপর একটি চাপ সৃষ্টি করতে পারে (Donald Trump)। উদাহরণস্বরূপ, জাপানের ‘বোলিং বল পরীক্ষা’ প্রসঙ্গে ট্রাম্প দাবি করেছেন, এই পরীক্ষার মাধ্যমে মার্কিন গাড়ি নির্মাতাদের প্রতি অনৈতিক আচরণ করা হয়। যদিও এই ধরনের প্রযুক্তি বা মানদণ্ড অনেক সময় দেশের নিজস্ব নিরাপত্তা বা গুণমান রক্ষার প্রয়োজনে প্রণীত হয়, তবু ট্রাম্প সেগুলিকে প্রতিরক্ষামূলক প্রযুক্তির ছদ্মবেশে প্রতিযোগিতার প্রতিবন্ধকতা বলে দাবি করেছেন।

বিভিন্ন দেশকে আক্রমণ (Donald Trump)
তালিকায় থাকা মুদ্রার অবমূল্যায়ন ও ভর্তুকি ইস্যুতেও একাধিকবার ট্রাম্প প্রশাসন বিভিন্ন দেশকে আক্রমণ করেছে (Donald Trump)। তার মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ মার্কিন পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা ক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। আবার, পাইরেসি এবং জাল নোট তৈরি আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মনে করা হয়।এই প্রেক্ষাপটে আমেরিকার এই হুঁশিয়ারিকে শুধু বাণিজ্যিক নয়, কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবেও দেখা যেতে পারে। ট্রাম্পের এই ঘোষণা আসলে আন্তর্জাতিক মঞ্চে শক্তি প্রদর্শনের কৌশল, যার মাধ্যমে তিনি বিশ্ববাজারে আমেরিকার প্রভাব আরও মজবুত করতে চান।

স্বার্থ রক্ষায় কড়া অবস্থান (Donald Trump)
তবে প্রশ্ন উঠছে—এই কৌশল আদৌ কার্যকর হবে কি না? একদিকে যেখানে আমেরিকা (Donald Trump) নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় কড়া অবস্থান নিচ্ছে, অন্যদিকে এই চাপের মুখে পড়া দেশগুলিও পাল্টা জোটবদ্ধ হতে পারে। ফলে, বাণিজ্য যুদ্ধে এক নতুন ধারা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দিক থেকে এটি এক জটিল সময়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যেখানে প্রতিটি দেশকেই কৌশলী হতে হবে।সব মিলিয়ে, ট্রাম্পের এই নতুন ‘অপরাধ’ তালিকা শুধু বাণিজ্য নয়, বিশ্ব কূটনীতি ও অর্থনৈতিক ভারসাম্যের উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। এখন দেখার বিষয়, এই হুঁশিয়ারির জবাবে বিশ্ব কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়।