ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ২২ এপ্রিল, ২০২৫ জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁও পর্যটন কেন্দ্র রক্তাক্ত হয়ে উঠেছিল এক নির্মম জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Attack)। এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন নিরীহ মানুষ, যাঁদের মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালি নাগরিক। সূত্রের খবর অনুযায়ী, হামলাটি ছিল পূর্ব পরিকল্পিত এবং উচ্চপ্রযুক্তি নির্ভর। জঙ্গিরা ত্রালের ঘন পাইনবন পেরিয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার হেঁটে পহেলগাঁও পৌঁছয়। এই যাত্রাপথে তাদের সাহায্য করে একটি বিশেষ মোবাইল অ্যাপ—‘আল্পাইন কোয়েস্ট’।
আল্পাইন কোয়েস্ট (Pahalgam Attack)
আল্পাইন কোয়েস্ট মূলত একটি হাইকিং ও ট্রেকিং অ্যাপ, যা অফলাইনেও কাজ করে এবং নির্দিষ্ট এলাকায় ম্যাপ এবং পথনির্দেশ দিতে সক্ষম(Pahalgam Attack)। সাধারণত এটি অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের কাজে লাগে। কিন্তু এবার দেখা গেল, জঙ্গিরা এই অ্যাপকেই ব্যবহার করেছে তাদের হামলার রুট নির্ধারণ করতে। ঘন জঙ্গলের মধ্যে সহজে পথ চিনে বৈসরন এলাকায় পৌঁছনো এবং নিরাপত্তাবাহিনীর নজর এড়িয়ে চলাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।
পাকিস্তানি মদত ও প্রশিক্ষণ (Pahalgam Attack)
গোয়েন্দা সূত্রে দাবি, এই অ্যাপ ব্যবহারের কৌশল শেখাতে এবং অভিযানে দক্ষতা অর্জনের জন্য পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর তরফে জঙ্গিদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল(Pahalgam Attack)। শুধু তাই নয়, পাকিস্তানের সহায়তায় এই অ্যাপের একটি কাস্টমাইজড ভার্সন তৈরি করা হয়, যা নিরাপত্তা ব্যবস্থার নজর এড়িয়ে চলতে সাহায্য করে। এই তথ্য যদি সত্যি হয়, তবে এটি আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের(Shehbaz Sharif) বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদতের অভিযোগকে আরও পোক্ত করে।

ফ্যালকন স্কোয়াড(Pahalgam Attack)
এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (TRF) নামক লশকর-ই-তইবার ছায়া সংগঠন(Pahalgam Attack)। এই সংগঠনের ‘ফ্যালকন স্কোয়াড’ নামক একটি বিশেষ ইউনিট রয়েছে, যারা ‘হিট অ্যান্ড রান’ পদ্ধতিতে হামলায় পারদর্শী এবং অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত। এই ইউনিট হামলার পর পাহাড় ও জঙ্গলে লুকিয়ে পড়তে পারদর্শী। যদিও এই স্কোয়াড এই হামলায় সরাসরি যুক্ত ছিল কিনা, তা এখনো তদন্তাধীন।

আরও পড়ুন: Pakistani Beauty Product: ফরসা হওয়ার লোভই কাল, ভারতীয় বাজারে পাকিস্তানি বিষক্রিম!
অমরনাথ যাত্রাকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্র(Pahalgam Attack)
সূত্র বলছে, জুলাই মাসে শুরু হতে চলা অমরনাথ যাত্রার আগে কাশ্মীরকে অস্থির করে তোলার উদ্দেশ্যেই এই হামলা(Pahalgam Attack)। পর্যটকদের নিশানা করে এই হামলার মাধ্যমে ভীতির বাতাবরণ তৈরি করতেই জঙ্গিরা সক্রিয় হয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, তেমনই জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটনশিল্পের উপরও বড় প্রভাব পড়তে পারে।এই হামলা শুধু একটি সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ নয়, বরং এটি ভারতের (Narendra Modi) নিরাপত্তার বিরুদ্ধে এক নতুন ধরণের প্রযুক্তিনির্ভর চ্যালেঞ্জ। ঘন জঙ্গলের মধ্যে মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে হামলার পরিকল্পনা প্রমাণ করে, আজকের জঙ্গিবাদ আগের তুলনায় অনেক বেশি কৌশলী ও প্রযুক্তিগত। ভারতীয় নিরাপত্তাবাহিনীর সামনে এখন নতুন করে ভাবতে হবে, কীভাবে এই ধরনের প্রযুক্তিনির্ভর ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা যায়। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্তরেও পাকিস্তানের ভূমিকাকে সামনে এনে কূটনৈতিক চাপ বাড়ানো প্রয়োজন।