ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ২০১৪ প্রাথমিকের ৩২ হাজার নিয়োগ বাতিলের সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ মামলার শুনানি ৭ মে থেকে শুরু হবে ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রর ডিভিশন বেঞ্চে ওই দিন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ শুনানি শুরু করবে (2014 Primary Recruitment)। সোমবার মামলাটি উঠলে আদালতে জানিয়ে দেয়, ৩২ হাজার নিয়োগ বাতিল মানেই আইনজীবীদের দীর্ঘ তালিকা, তাঁরা বক্তব্য রেখেই যাবেন, এত সময় দেবে না আদালত। ফলে যাঁদের একই বক্তব্য ও একই ইস্যু, সেখানে আইনজীবীদের একজনের নেতৃত্বে বক্তব্য জানাতে হবে।
২০১৬ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৩২,০০০ চাকরি বাতিল মামলায় একক বেঞ্চে শুনানির সময় পক্ষ ছিল না চাকরিহারা ও বঞ্চিত আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থীরা। তাই বিচারপতি ৭ মে পরবর্তী শুনানি রাখলেন। ওইদিন পর্ষদ আগে তাদের বক্তব্য জানাবে আদালতে।
সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ (2014 Primary Recruitment)
আবেদনকারী: আমরা শেষ ৮ বছর ধরে চাকরি করছি। ২০১৭ নিয়োগ। ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া। ২০২২ সালে মামলা হয়। একক বেঞ্চে ৩২ হাজার চাকরি বাতিল ও নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ার কথা বলে। ৪ মাসে আমাদের পার্শশিক্ষকদের মতো বেতন দেবে বলা হয় কিন্তু আমরা পার্টি ছিলাম না। তারপর মামলা সুপ্রিল কোর্টে যায়। একক বেঞ্চের নির্দেশ সেটাসাইট করা হয়। আমরা কাজ করছি।
বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী: আবেদনকারী কারা?
রাজ্যের আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়: অকৃতকার্য চাকরিপ্রার্থীরা।
বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি: দুই ধরনের আবেদনকারী আছে।
বিচারপতি: আপনারা একসঙ্গে বসুন। তারপর বলুন।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়: একক বেঞ্চের নির্দেশের পর এই বেঞ্চে শুনানি নির্ধারিত হয়েছে। চাকরি বাতিলে অন্তরবর্তী স্থগিতাদেশ রয়েছে (2014 Primary Recruitment)। সুপ্রিম কোর্ট ক্ষতিগ্রস্ত প্রার্থীদের শুনতে বলেছে। আপনি একটা তারিখ দিন। একটি ডকুমেন্ট যা তথ্য প্রকাশ করবে তাহলে একক বেঞ্চের নির্দেশ সেটাসাইট হবে। অসুবিধা হচ্ছে বোর্ডের পেপার বুক।
বিচারপতি: কোন পেপারবুকে সমস্ত তথ্য আছে?
আবেদনকারী: স্পইরাল বাইন্ডিং এ কি ছিল? আর সিঙ্গেল বেঞ্চে পর্ষদ কি বলেছিল জানতে চাই। এখন পরিস্থিতি আলাদা। আমরা সব ডকুমেন্ট দেখতে চাই।
আরও পড়ুন: Calcutta High Court: শূন্যপদে নিয়োগ নিয়ে রাজ্যকে লিখিত আবেদন করতে বলল হাইকোর্ট
বিচারপতি রাজ্যকে : আপনারা কেন পেপারবুক শেয়ার করছেন না।
এজি: আমার কাছে সফট কপি আছে। ইমেল এ পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সাক্য সেনের কাছে বাকিটা আছে।
বিচারপতি: মি সেন এন্ড লাহিড়ী পেপারে কি জানতে চাইছেন আমরা রিট কোর্টে আমরা পার্টি ছিলাম না (2014 Primary Recruitment)।
কল্যাণ : আমরা যুক্ত ছিলাম না। প্রত্যেকের আলাদা করে কিছু বলার আছে।
মিঃ গুপ্ত তাহলে আপনি আজকে বলুন।
এজি: সময় দিন।
কল্যাণ: ডিভিশন বেঞ্চ এ যখন শুনানি হয় একের পর এক আবেদনকারী আসে। আপিল না অ্যাপ্লিকেশন শোনা হবে।
বিচারপতি: অ্যাপিল শুরু হোক। এপ্লিকেশন যা আসবে বিবেচনার ভিত্তিতে হবে।
এজি: ৭ তারিখ রাখুন। পর্ষদ আগে বলবে।
বিচারপতি: দয়া করে আপনারা কপিগুলো নিজেদের মধ্যে আদানপ্রদান করে নিন।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় (2014 Primary Recruitment) উত্তীর্ণ হন প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার প্রার্থী। পর্ষদ ২০১৬ সাল থেকে তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে। চাকরি দেওয়া হয় ৪২ হাজার ৯৪৯ জনকে। কিন্তু ওই নিয়োগে একাধিক ‘ত্রুটি’র অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় প্রশিক্ষণহীন ৩২ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। প্রাক্তন বিচারপতির রায় ছিল, চাকরি বাতিল হলেও ওই শিক্ষকরা স্কুলে যাবেন। তবে তিন মাসের মধ্যে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে রাজ্যকে।
ওই নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেছিল রাজ্য (2014 Primary Recruitment)। গত ৭ এপ্রিল ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এই মামলা থেকে অব্যাহতি নেন বিচারপতি সৌমেন সেন। সোমবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে।