ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সোমবার জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের (JNU Student Election) ফলাফল ঘোষণা হয়। এবারের নির্বাচনে বাম ছাত্র সংগঠনগুলির আধিপত্য বজায় থাকলেও, ডানপন্থী ছাত্র সংগঠন এবিভিপি (অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ) যথেষ্ট ভালো ফল করেছে, যা তাদের জন্য বড় ধরনের সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। এবিভিপি, যেটি এক দশক পর কেন্দ্রীয় প্যানেলে গুরুত্বপূর্ণ পদে জয়লাভ করেছে, বিশেষভাবে এই জয়কে একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করছে।
বাম ছাত্র সংগঠনের আধিপত্য (JNU Student Election)
এবারের নির্বাচনে মোট পাঁচটি পদের মধ্যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদে বিজয়ী হয়েছে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলি, তবে এবিভিপি এবার কেন্দ্রীয় প্যানেলে যুগ্ম সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছে, যা গেরুয়া শিবিরের জন্য এক বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে। এবিভিপি প্রার্থী বৈভব মীনা, আইসার প্রার্থী নরেশ কুমারকে পরাজিত করে যুগ্ম সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। ২০১৫-১৬ সালের পর এটি প্রথমবারের মতো এবিভিপি এই পদে জয়লাভ করলো, এবং দলটি এই জয়কে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে দেখছে।
জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে (JNU Student Election) মোট ২৫ এপ্রিল ভোটগ্রহণ হয়, এবং ফলাফল প্রকাশিত হয় সোমবার। অল ইন্ডিয়া স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (AISA) প্রার্থী নীতীশ কুমার ছাত্র সংসদের সভাপতি পদে বিজয়ী হন, তিনি বিপক্ষ প্রার্থী শিখা স্বরাজকে প্রায় ৩০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন। বাম ছাত্র সংগঠন আইসা, এসএফআই (স্টুডেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া), এবং ডিএসএফ (ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্টস ফেডারেশন) এককভাবে আলাদাভাবে লড়াই করলেও, বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলির মোট আসন সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। এসএফআই প্রার্থী তায়বা আহমেদ প্রেসিডেন্ট পদে মাত্র ৯১৮ ভোট পেয়ে হেরে যান।

নতুন রাজনৈতিক চিত্র (JNU Student Election)
বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU Student Election) অন্যান্য পদে ডিএসএফ প্রার্থী মনীষা সহ-সভাপতি পদে এবং মুনতেহা ফতিমা সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। তবে এবিভিপি সবার নজর কাড়ে, কারণ তারা দীর্ঘ সময় পরে কেন্দ্রীয় প্যানেলে জয়লাভ করেছে। এবিভিপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, এই ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের চরিত্রে পরিবর্তন আনার সূচনা, এবং এবিভিপির শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে।
আরও পড়ুন: Pahalgam Attack: পাকিস্তানের পাশে চিনের কূটনৈতিক বার্তা, দুই দেশকে সংযম বজায় রাখার আহ্বান!
এবিভিপির নেতা বৈভব মীনা বিজয়ের পর বলেন, “এতদিন বাম সংগঠনগুলো ক্ষমতায় থেকে এখানকার আদিবাসী ও পিছিয়ে পড়া ছাত্রদের উপেক্ষা করেছে। আমি তাদের জন্য কাজ শুরু করব।” গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে যে, এবিভিপির জয় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU Student Election) ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের পরিবর্তন আনবে, এবং এবিভিপি ছাত্রদের মধ্যে আরও বৃহত্তর ভূমিকা নিতে পারবে।
বিগত দশক এবং আজকের পরিবর্তন (JNU Student Election)
এদিনের ফলাফল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষানীতি ও রাজনীতিতে বড় ধরনের সাড়া ফেলতে পারে। বামপন্থী সংগঠনগুলির জন্য এটি একটি সতর্কবার্তা, যেহেতু এবিভিপি তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সফল হয়েছে। এই নির্বাচনে (JNU Student Election) ফলাফল ভবিষ্যতে ভারতের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নতুন চর্চার সূচনা করতে পারে, বিশেষ করে সেই প্রতিষ্ঠানে যেখানে ছাত্র রাজনীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।