ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। উঠেছে বদলার দাবি। তৈরি রয়েছে ভারতীয় সেনাও। পাকিস্তানকে কড়া জবাব দিক ভারত, এমনই চাইছেন দেশবাসী। এবার পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার ঘটনায় সরব তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সরাসরি পাক-অধিকৃত কাশ্মীর পুনরুদ্ধারের ডাক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। শুধু তাই নয়, সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি দাবি জানালেন, ‘ওরা যে ভাষা বোঝে সেই ভাষায় সবক শেখানোর সময় এটা।’
অভিষেকের নিশানায় কেন্দ্র (Abhishek Banerjee)
গত ২২ এপ্রিল দুপুরে কেঁপে ওঠে পহেলগাঁওয়ের বৈসরন উপত্যকা। জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন পর্যটক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বাংলার তিন পর্যটকও। প্রথম থেকেই রাজ্য প্রশাসন নিহতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে।ইতিমধ্যেই তাঁদের পরিবারের জন্য দশ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও ঘটনায় কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে।এবার পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে তীব্র প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। অভিষেক রবিবার বলেন, ‘আমি শেষ কয়েকদিন মূলধারার গণমাধ্যম এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নেতৃত্বে থাকা ব্যক্তিদের আচরণ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। পহেলগামে এই ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলার পিছনে থাকা ত্রুটিগুলি তদন্ত করার পরিবর্তে, তারা একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের স্বার্থে কথা বলে চলেছে।’ তুচ্ছ রাজনীতির ঊর্দ্ধে উঠে বিষয়টির পর্যালোচনা করা উচিত বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন : BEd Admission: বিএড-এ ভর্তির হার ধাক্কা খেল রাজ্যে, ফাঁকা থাকল হাজার হাজার আসন!
অভিষেকের বার্তা (Abhishek Banerjee)
রবিবার এক্স হ্যান্ডলে অভিষেক (Abhishek Banerjee) লেখেন, “গত কয়েকদিন ধরে, আমি প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম এবং কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষস্তরের কার্যকলাপের দিকে নজর রাখছিলাম। পহেলগাঁওতে এই সন্ত্রাসী হামলার কারণগুলি গভীরভাবে তদন্ত করার পরিবর্তে, তাঁরা একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সুবিধার জন্য প্রচার করতে বেশি মনোযোগী বলে মনে হচ্ছে। এখনই সময় এই ধরনের তুচ্ছ রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এই সমস্যার চিরতরে সমাধান করার। এটা আবার কোনও সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিবাদের সময় নয়। ওরা যে ভাষা বোঝে সেই ভাষায় সবক শেখানোর সময় এটা। এটাই পাক অধিকৃত কাশ্মীর পুনরুদ্ধারের সময়।”
আরও পড়ুন : Sundarban Border: সুন্দরবন জল সীমান্তে জঙ্গি ঠেকাতে কড়া নজর সীমান্তরক্ষী বাহিনীর
প্রসঙ্গত , পহেলগাঁও হামলার পর কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান আরও তীব্র করেছে। তল্লাশি অভিযান চলছে, এবং বিভিন্ন স্থানে সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে এনকাউন্টারও চলছে। গোয়েন্দা সংস্থা পহেলগাঁও নাশকতার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহভাজন ১৪ জন জঙ্গির একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে। বৈসরন ভ্যালিতে হামলার পর , ভারতীয় সেনা, CRPF ও জম্মু কাশ্মীর পুলিশ পহেলগাঁওয়ের জঙ্গলে লাগাতার তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। পহেলগাঁওয়ে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।এছাড়াও, পহেলগাঁও হামলার ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)।