ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam Attack) পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় নতুন মোড়। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়ো ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বৈসরন উপত্যকায় ‘জ়িপলাইনে’ সওয়ার হয়ে উপত্যকার সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দি করছেন এক পর্যটক, নাম ঋষি ভাট। তিনি গুজরাতের বাসিন্দা। ভিডিয়োর সূত্র ধরেই এবার তদন্তকারীদের নজরে এসেছেন জ়িপলাইনের অপারেটর, যাঁর আচরণকে সন্দেহজনক বলেই মনে করছেন ঋষি।
নিচু স্বরে তিনবার ধর্মীয় বাক্য (Pahalgam Attack)
ঋষির অভিযোগ, হামলার ঠিক আগেই ওই অপারেটর নিচু স্বরে তিনবার (Pahalgam Attack) একটি ধর্মীয় বাক্য বলেন। যদিও আপাতদৃষ্টিতে তা অস্বাভাবিক কিছু মনে না হলেও, ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, ঠিক সেই বাক্য উচ্চারণের কিছু মুহূর্ত পরেই পর্যটকদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। উপত্যকার সবুজ প্রান্তরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে আতঙ্ক।
অপারেটরকে ইতিমধ্যেই তলব করা হয়েছে (Pahalgam Attack)
ঋষির আরও দাবি, তাঁর আগে আরও নয় জন পর্যটক স্ত্রী ও পুত্র সহ জ়িপলাইনে (Pahalgam Attack) উঠেছিলেন। কিন্তু সেই সময় কোনও ধর্মীয় উক্তি শোনা যায়নি। শুধুমাত্র তাঁর জ়িপলাইন রাইডের সময়ই ওই বাক্য শোনা যায়, এবং তারপরেই শুরু হয় গুলির শব্দ। এনআইএ (জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা) সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই অপারেটরকে ইতিমধ্যেই তলব করা হয়েছে। তদন্তের আওতায় আনা হচ্ছে তাঁর অতীত রেকর্ড ও ঘটনার সময়কার অবস্থান।
২০ সেকেন্ড পরেই গুলির শব্দ
ঋষির কথায়, “জ়িপলাইনে ওঠার ২০ সেকেন্ড পরেই গুলির শব্দ শুনি। ভয়ানক অভিজ্ঞতা! জ়িপলাইনের শেষ প্রান্তে পৌঁছে গায়ে বাঁধা বেল্ট খুলেই ঝাঁপ দিই। তার পর স্ত্রী আর ছেলেকে নিয়ে দৌড়ে পালাই। একটা ঝোপে প্রায় ২৫ মিনিট লুকিয়ে ছিলাম। পরে সেনা এসে আমাদের উদ্ধার করে।”
জঙ্গিদের সঙ্গে কোনওভাবে যোগ?
তিনি আরও জানিয়েছেন, জঙ্গিরা প্রায় ৮–১০ মিনিট ধরে গুলি চালিয়েছিল। মাঝেমাঝে থেমে ফের গুলি চলছিল। এনআইএ এখন খতিয়ে দেখছে, ওই অপারেটরের আচরণ নিছক কাকতালীয়, না কি জঙ্গিদের সঙ্গে কোনওভাবে যোগ ছিল। এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকারকেও দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছে বিরোধীরা। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি দিয়ে সংসদের বিশেষ অধিবেশন ডাকার আবেদন করেছেন।
আরও পড়ুন: Sealdah TT: রেলের উদ্যোগে কোডযুক্ত ব্যাজ, ভুয়ো টিকিট পরীক্ষকদের দিন শেষ!
এই ভয়াবহ হামলার তদন্ত কোন দিকে মোড় নেয়, এখন সেটাই দেখার। তবে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে উপত্যকার সর্বত্র।