ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: আচমকায় ভক্তদের ওপর ভেঙে পড়ল নবনির্মিত মন্দিরের (Temple Wall Collapsed) দেওয়ালের একাংশ। তাতে চাপা পড়ে কমপক্ষে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ভোরে বিশাখাপত্তনমের সিমহাচলমে শ্রী বরাহ লক্ষ্মী নরসিংহ স্বামী মন্দিরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহত আরও বেশ কয়েক জন। নিহতদের মধ্যে তিন জন রয়েছেন মহিলা। তাঁদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম জেলায় চন্দনোৎসবের অনুষ্ঠান চলাকালীন দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল আট ভক্তের।
বিরল দৃশ্য দেখার জন্য হাজার হাজার ভক্ত (Temple Wall Collapsed)
চন্দনোৎসবম উৎসব হল সিমহাচলম মন্দিরের একটি বার্ষিক উৎসব।সাধারণত সারা বছর ধরে প্রতিমাটি ঢেকে রাখা চন্দনের প্রলেপ দিয়ে (Temple Wall Collapsed)। বছরে একবার চন্দনের প্রলেপ সরিয়ে ভগবান নৃসিংহ স্বামীকে ভক্তদের কাছে তাঁর আসল রূপ দেখানো হয়। এই বিশেষ মুহূর্ত হাজার হাজার ভক্তের কাছে অত্যন্ত শুভ এবং মঙ্গল বলে বিবেচিত হয়। মঙ্গলবার রাত ১ টায় ‘সুপ্রভাত সেবা’র মাধ্যমে ভগবানকে জাগ্রত করা হয়েছিল। বিশেষ রূপার যন্ত্রের সাহায্যে চন্দনের প্রলেপ সরিয়ে দেওয়ার পর তাঁর আসল রূপ সামনে আনা হয়। এরপর অভিষেক এবং অন্যান্য বৈদিক আচার-অনুষ্ঠান যথাযথভাবে সম্পন্ন করা হয়। এই বিরল দৃশ্য দেখার জন্য হাজার হাজার ভক্ত ইতিমধ্যেই সিমহাচলমে জড়ো হয়েছিলেন। তখনই ঘটে যায় এই দুর্ঘটনা।
মন্দিরের দেওয়ালের একাংশ ভেঙে পড়ে (Temple Wall Collapsed)
ঘটনাটি ঘটেছে রাত আড়াইটে নাগাদ (Temple Wall Collapsed)। বার্ষিক চন্দনোৎসব উৎসব উপলক্ষে ভক্তরা দেবতার ‘নিজরূপা’ দর্শনের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময় মন্দিরের দেওয়ালের একাংশ ভেঙে পড়ে। খবর পেয়ে ভোরেই মন্দিরে যান মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে নবনির্মিত মন্দিরের দেওয়ালটি জলে ভিজে গিয়েছিল। তারওপর ভক্তদের চাপে দেওয়ালটি ভেঙে পড়ে। ঘটনার পরেই সেখানে উদ্ধার কাজ শুরু করে উদ্ধারকারী দল। বিশাখাপত্তনমের জেলা শাসক হরেন্ধীর প্রসাদ এবং পুলিশ কমিশনার শঙ্খ ব্রত বাগচীও ঘটনাস্থলে পৌঁছন।
আর্থিক সাহায্য করা হবে বলে ঘোষণা
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। শুরু হয় উদ্ধারকাজ। অন্ধ্রপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বঙ্গলাপুড়ি অনিতাও ঘটনাস্থলে যান। সংবাদ সংস্থাকে তিনি বলেন, ‘‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা, সরকার দ্রুত উদ্ধারকাজ শেষ করার চেষ্টা করেছে।’’ বুধবার সকালেও চলছে উদ্ধারকাজ। আরও কেউ এখনও ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবারপিছু দু’লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি।