ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কলকাতার বড়বাজারের ফলপট্টি আজ শোকস্তব্ধ। মেছুয়াবাজারের ‘ঋতুরাজ হোটেল’-এ ভয়াবহ আগুনে ১৪ জনের মৃত্যু ঘিরে কেবল কান্না আর নীরবতা (Black day for Mecchua)। দোকানপাট বন্ধ, গেটে বাঁধা কালো পতাকা। কেউ ফল বিক্রি করছেন না, নেই কোনও হকারের হাঁক। ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়লেও আজ তাঁরা শুধু শোক পালন করছেন।
শোকস্তব্ধ বড়বাজার (Black day for Mecchua)
আজ বড়বাজারের ফলপট্টিতে সূর্য উঠলেও আলো নেই। ভোরে বাজার খোলেনি, দোকানদাররা আসেননি, ঠেলাগাড়িগুলো থেমে আছে – কারণ আজ শোকের দিন। আগুনের লেলিহান শিখা কেড়ে নিয়েছে ১৪টি প্রাণ। তাদের কেউ পুজোর জিনিস আনতে এসেছিল, কেউ ছিল বাইরের রাজ্যের শ্রমিক, কেউ আবার এক রাতের জন্য শহরের অতিথি। কিন্তু ‘ঋতুরাজ হোটেল’-এর সেই রাত হয়ে উঠল শেষ রাত।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ আগুন লাগে ওই হোটেলে। মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আগুন ও ধোঁয়া। পুলিশ জানিয়েছে, ১৩ জন ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মারা যান, আর একজন ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে প্রাণ হারান। এই ঘিঞ্জি এলাকায় কোনও জরুরি নির্গমন পথ ছিল না, হোটেলের অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা ছিল কার্যত অচল। ফলপট্টির গেটে আজ কালো পতাকা বাঁধা, দোকানদাররা নিজেরাই ঘোষণা করে রেখেছেন — আজ ব্যবসা নয়, আজ শোক (Black day for Mecchua)। এই হঠাৎ ছুটি কোনো উৎসবের নয়, বরং হৃদয়বিদারক এক ক্ষতির প্রতীক।
আর্থিক ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা (Black day for Mecchua)
আজ ফলপট্টিতে কেউ আপেল-মৌসুমি বিক্রি করছে না, কেউ দর কষাকষি করছে না। শুধু কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে আতঙ্ক, কান্না আর নীরবতা। দোকানপাট বন্ধ, চারপাশে অদ্ভুত এক ভারী নিস্তব্ধতা। বাজার বন্ধ থাকার ফলে মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরাও। কিন্তু তাঁরা কেউ ক্ষতির হিসাব করছেন না আজ।
আরও পড়ুন: SIT Investigation: কী ভাবে আগুন লাগল? অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির পর সিট গঠন পুলিশের

হোটেলে ইমার্জেন্সি এক্সিট ছিল না কেন? একটিমাত্র সিঁড়ি দিয়েই যাতায়াত? অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা কি কার্যকর ছিল? সব মিলিয়ে উঠছে প্রশ্ন, এই মৃত্যুর দায় নেবে কে? জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যারা এসেছিলেন কাজের সন্ধানে বা এক রাত কাটাতে, তাঁদের কারও আর ঘরে ফেরা হল না। আজ বড়বাজার রইল এক নীরব প্রতিবাদের সাক্ষী।