ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : অবশেষে জামিন পেলেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সন্ন্যাসী তথা ইসকনের প্রাক্তন নেতা চিন্ময়কৃষ্ণ দাস (Chinmoy Krishna Das)। রাষ্ট্রদ্রোহ বা দেশদ্রোহ মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। প্রায় পাঁচ মাস ধরে জেলবন্দি ছিলেন চিন্ময়কৃষ্ণ দাস। শেষ পর্যন্ত, বুধবার হাইকোর্ট তাঁর জামিন মঞ্জুর করল। বুধবার ঢাকা হাইকোর্টের বিচারপতি আতোয়ার রহমান খান ও আলি রেজার বেঞ্চ চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন মঞ্জুর করে।
পাঁচ মাস পর চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন (Chinmoy Krishna Das)
রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গত ২৫ নভেম্বর চিন্ময়কৃষ্ণকে (Chinmoy Krishna Das) গ্রেফতার করা হয়েছিল। পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে জেলে রয়েছেন তিনি। বাংলাদেশের হাই কোর্টে চিন্ময়কৃষ্ণের জামিনের আবেদনের শুনানি ছিল বুধবার। শুনানি শেষে বিচারপতি আতোয়ার রহমান খান এবং আলি রেজার যৌথ বেঞ্চ আবেদনটি মঞ্জুর করে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানিয়েছে, গত ৪ ফেব্রুয়ারি চিন্ময়কৃষ্ণের মামলায় রুল জারি করেছিল আদালত। কেন তাঁকে জামিন দেওয়া হবে না, আদালত জানতে চেয়েছিল। এই সংক্রান্ত শুনানি হওয়ার কথা ছিল ২৩ এপ্রিল। কিন্তু সে দিন আদালত জানায়, ৩০ এপ্রিল শুনানি হবে। অবশেষে বুধবার শুনানি শেষ হয়েছে। উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত চিন্ময়কৃষ্ণের জামিন মঞ্জুর করেছে।
আরও পড়ুন : Balochistan Attack : বালোচিস্তানে বিদ্রোহী দমন অভিযান পাক সেনার! গুলিতে নিহত অন্তত ১০ বালুচ বিদ্রোহী
চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তি নিয়ে সংশয় ? (Chinmoy Krishna Das)
তবে জামিন মিললেও সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ (Chinmoy Krishna Das) আজই মুক্তি পাবেন কি না, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কারণ, সামনে তিন দিনের সরকারি ছুটি থাকায় আদালত বন্ধ থাকবে। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মহম্মদ ইউনূস সরকার যদি হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে আবেদন করেন, তাহলে তাঁর মুক্তি আটকে যেতে পারে। আইনজীবী প্রহ্লাদদেব নাথ জানিয়েছেন, হাইকোর্টের আদেশে যদি সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ না দেয়, তাহলে চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তিতে আইনগতভাবে কোনো বাধা নেই। এর আগে, গত ২৩ এপ্রিল চিন্ময়কৃষ্ণের আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেন, জানিয়ে ছিলেন যে জেলে সন্ন্যাসীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়েছে এবং বিনা বিচারে তাঁর এই আটক অযৌক্তিক। যদিও সেদিন জামিন মঞ্জুর হয়নি, আজ অবশেষে তা মঞ্জুর করেছেন আদালত।
প্রসঙ্গত , শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূস। সেই আবহেই গত বছর ২৫ নভেম্বর গ্রেফতার হন চিন্ময়কৃষ্ণ। তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছিল দেশদ্রোহীতার অভিযোগ। ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত তাঁকে জেলে পাঠায়। তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তির দাবিতে পথে নেমেছিলেন। তাঁর জামিনের দাবিতে ভারতের একাধিক জায়গাতেও প্রতিবাদ মিছিল হয়।পাঁচ মাস পরে অবশেষে তিনি জামিন পেলেন।