ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার(Pahalgam Attack) পর টানা আট দিন সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন করল পাক সেনা। পাঁচ জায়গায় ভারতীয় সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে গুলি চালায় পাক সেনা।বৃহস্পতিবার রাত এবং শুক্রবার ভোরে জম্মু ও কাশ্মীরের কুপওয়ারা, বারামুলা, পুঞ্চ, নওশেরা এবং আখনুর— এই পাঁচ জায়গায় ভারতীয় সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে গুলি চালায় পাক সেনা। তবে গত সাত দিনের মতো অষ্টম দিনেও পাক সেনাকে পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতীয় সেনা(Indian Army)।
জঙ্গিদের পাকিস্তানে ফেরাতেই এই কৌশল!(Pahalgam Attack)
সূত্রের খবর, জঙ্গিদের নিরাপদে পাকিস্তানে ফিরিয়ে নিয়ে যেতেই এই কৌশল অবলম্বন করছে ইসলামাবাদ। নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি চালিয়ে ভারতীয় সেনাকে ব্যতিব্যস্ত রেখে মুহূর্তের অসতর্কতায় নজর এড়িয়ে জঙ্গিদের ফিরিয়ে নিতে চাইছে ইসলামাবাদ। পাশাপাশি ভারত সামরিক দিক থেকে কতটা প্রস্তুত, তা-ও পরখ করতে চাইছে তারা। তবে এমন সব কৌশলের কথা মাথায় রেখে সজাগ রয়েছে ভারতীয় সেনাও।
ভারত-পাকের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি(Pahalgam Attack)
ভারত এবং পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের আরও অবনতি হয়েছে পহেলগাঁও কাণ্ডের(Pahalgam Attack)পর থেকে। ভারত-পাক কূটনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাশ্মীর উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর উত্তাপও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন শুরু করে পাকিস্তানি সেনা। এক সপ্তাহ পরেও তার ব্যতিক্রম হল না।
আরও পড়ুন: Poll Panel New Plan: ভোটার তালিকা আরও নিখুঁত করতে বড় পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের
ভারতের বিরুদ্ধেও একাধিক পদক্ষেপ ঘোষণা পাকের
পহেলগাঁও হামলার(Pahalgam Attack) পর বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকের পর ভারতের বিরুদ্ধেও পাল্টা বেশ কিছু পদক্ষেপ ঘোষণা করে পাকিস্তান। তারা হুঁশিয়ারি দেয়, জলপ্রবাহ বন্ধ করা হলে সেটিকে ‘যুদ্ধ’ হিসাবে দেখা হবে। পাকিস্তান আরও দাবি করে, শিমলা চুক্তি স্থগিত করারও অধিকার রয়েছে তাদের।
অতীতেও সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে এই শিমলা চুক্তির মাধ্যমেই কাশ্মীর উপত্যকায় নিয়ন্ত্রণরেখা তৈরি হয়েছিল। চুক্তি অনুসারে, ওই সময়ে যে দেশের বাহিনী কাশ্মীরের যেখানে অবস্থান করছিল, সেখানেই অবস্থান করবে। অতীতেও বিভিন্ন সময়ে সীমান্তে সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানি সেনার বিরুদ্ধে।
পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে ফুঁসছে ভারত
উল্লেখ্য, ২৬ জনের রক্তে ভেসেছে ভূস্বর্গ। পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলার প্রতিবাদে ফুঁসছে ভারত। ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের উপর ‘কূটনৈতিক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ করেছে নয়াদিল্লি। সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল করছে ভারত। এছাড়াও বন্ধ ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত। পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে। সমস্ত পাকিস্তানিদের ভারত ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এহেন উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে পাক নেতাদের মুখে বারবার যুদ্ধের হুঙ্কার শোনা যাচ্ছে। তারই ফলশ্রুতি আটদিন ধরে সীমান্তে হামলা?