ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ওয়াকফ হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়াতে মুর্শিদাবাদে যান মুখ্যমন্ত্রী। শুধু ক্ষতিপূরণ নয়, দিলেন আশ্বাস— বাংলায় সম্প্রীতির পরিবেশ কেউ নষ্ট করতে পারবে না। একইসঙ্গে বিজেপিকে নিশানা করে তীব্র আক্রমণ শানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওয়াকফ-আশ্বাস মমতার (Mamata Banerjee)
ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে চলা আন্দোলনে সম্প্রতি বেনজির হিংসার ছবি দেখেছে মুর্শিদাবাদ। জ্বলেছে সামশেরগঞ্জ থেকে জলঙ্গি, সুতি। ঝরেছে প্রাণ, গিয়েছে রক্ত। এবার সেই মুর্শিদাবাদে গিয়ে মমতা কী বার্তা দেন সেদিকে নজর ছিল গোটা রাজ্যেরই। এবার সেখান থেকেই মমতার (Mamata Banerjee) মুখে বারবারই শোনা গেল সম্প্রীতির কথা। মুর্শিদাবাদে দাঁড়িয়েই মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ওয়াকফ নিয়ে আমাদের এখানে কোনও প্রশ্ন নেই। এই নিয়ে আমি কিছু বলব না। ওয়াকফ নিয়ে বলার থাকলে দিল্লিতে যান। বাংলায় আমি আছি মাথায় রাখবেন।” তিনি জানান, তাঁর সরকার কোনও ধর্মেরই সম্পত্তি অধিগ্রহণের পক্ষে নয়।
বিজেপিকে নিশানা (Mamata Banerjee)
দাঙ্গার প্রায় সপ্তাহ তিনেক পর মুর্শিদাবাদে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে সে জেলায় হিংসায় ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘বাংলার বাড়ি প্রকল্পে’ ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে তুলে দিলেন ঘরের প্রতীকী চাবি। এরপরই সরাসরি পদ্ম শিবিরকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। বিজেপির কথা শুনে প্ররোচিত না হওয়ার জন্য মুর্শিদাবাদবাসীকে আহ্বান জানালেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মুখ্যমন্ত্রীর বার্তায় যেমন ছিল শান্তি ও সম্প্রীতির আহ্বান, তেমনি ছিল রাজনৈতিক চক্রান্তের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি। মুর্শিদাবাদের মাটি থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) স্পষ্ট ঘোষণা— বাংলায় ধর্মের নামে বিভাজন নয়, বরং একতা ও সহাবস্থানই হবে রাজ্যের চালিকাশক্তি। হিংসার ছাই চাপা পড়ে গেলেও, মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর রাজ্যের রাজনীতিতে যে এক নতুন বার্তা রেখে গেল, তা স্পষ্ট। ভোটের মুখে বিভাজনের রাজনীতিকে রুখে একতার জমি তৈরির চেষ্টাই এখন মমতার প্রধান কৌশল— আর তারই ইঙ্গিত মিলল মুর্শিদাবাদের এই সফরে।