ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: উচ্চ মাধ্যমিকে রাজ্যের মধ্যে মেধাতালিকায় সম্ভাব্য দ্বিতীয় স্থানে (WB HS Second 2025) রয়েছে তুষার দেবনাথ। কোচবিহারের বক্সিরহাট হাই স্কুলের ছাত্র সে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৬। তার বাড়িতেও খুশি। বাবা পেশায় সবজি বিক্রেতা। ছেলের এই সাফল্যে অত্যন্ত আনন্দিত। শতাংশের হিসাবে ৯৯.২। মাধ্যমিকে তুষার দেবনাথ নবম স্থান পেয়েছিল।
খেলাধুলোর প্রতিও সমান আগ্রহী (WB HS Second 2025)
নিজের ফলাফল এদিন টিভিতে প্রথমে জানতে পেরেছিল তুষার (WB HS Second 2025)। দ্বিতীয় হওয়ার খবরে অত্যন্ত আনন্দিত সে। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলোর প্রতিও সমান আগ্রহী সে। নিয়মিত ক্রিকেট খেলে তুষার। বাড়িতে বাবা-মা, ভাই-বোন আছে। তাদের সকলেই পাশে থেকে বরাবর তুষারকে সাহায্য করেছে বলে খবর। বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে চায়। আগামী দিনে বিজ্ঞানী হতে চায় তুষার।
পরিবারের আর্থিক সচ্ছ্বলতা তেমন নেই (WB HS Second 2025)
উচ্চ মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় সম্ভাব্য দ্বিতীয় তুষার দেবনাথের বাবা অত্যন্ত খুশি (WB HS Second 2025)। পরিবারের আর্থিক সচ্ছ্বলতা তেমন নেই বলেই খবর। বাবা তপন দেবনাথের সবজির দোকান। সেই সবজি বিক্রি করেই সংসার চালিয়ে আসছেন তিনি। ছেলের সাফল্যে প্রথম দিকে কথা আটকে গিয়েছিল তাঁর। পরে তিনি আনন্দে ভেসে গিয়েছেন। ছেলের পড়শোনায় কখনও খামতি রাখতে চাননি তিনি। এছাড়াও স্কুলের শিক্ষকরাও তুষারের পড়াশোনায় অত্যন্ত সাহায্য করেছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। দিনে সাত থেকে আট ঘণ্টা ধরে তুষার পড়াশোনা করত বলে জানা গিয়েছে। তার এই সাফল্যে বক্সিরহাট হাই স্কুলের শিক্ষকরাও অভিভূত।
আরও পড়ুন: WB HS Topper 2025: বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায় রূপায়ণ উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম রূপায়ণ
সাফল্যের কৃতিত্ব মা–বাবাকে
দরিদ্র পরিবারের ছেলে তুষার। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে পড়াশোনা করেছে। তার ফাঁকেই সে বাবাকে কাজে সহযোগিতা করত। বুধবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলপ্রকাশের পরেই এলাকায় রীতিমতো সেলিব্রিটি হয়ে উঠেছে তুষার। ফলপ্রকাশের পরই এলাকার বাসিন্দা সহ বিভিন্নজনেরা তাঁর বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করেন। তুষার দেবনাথ জানিয়েছেন, ‘আশা করিনি এত ভাল রেজাল্ট হবে। যখন খবরটা পাই মনে হচ্ছিল স্বপ্নের মধ্যে রয়েছি।’ এরপরই তুষার জানান, দিনে সে ৪–৬ ঘণ্টা পড়াশোনা করত। ভবিষ্যতে বিজ্ঞানী হতে চায় সে। পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রিকেট খেলতে ভালবাসে তুষার। এই সাফল্যের কৃতিত্ব মা–বাবাকে দিয়েছেন তুষার। পাশাপাশি এই ফলের সে কৃতিত্ব দিয়েছেন স্কুল শিক্ষক ও গৃহশিক্ষকদের।