ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বৃহস্পতিবার শেষের দিকে পাঞ্জাব, রাজস্থান এবং জম্মু ও কাশ্মীরের শহরগুলিতে বিমান হামলার (What S Jaishankar Told) সাইরেন বেজে ওঠে এবং বেসামরিক ও সামরিক পরিকাঠামো রক্ষার জন্য সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউটের নির্দেশ দেওয়া হয়।
পাহালগাম হামলার প্রতিক্রিয়া: অপারেশন সিন্দুর (What S Jaishankar Told)
২০২৫ সালের ২২ এপ্রিল, জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে এক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হন (What S Jaishankar Told)। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকার ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে একটি সামরিক অভিযান চালায়। এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি সন্ত্রাসী ঘাঁটি ধ্বংস করা হয়।
পাকিস্তানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া: ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা (What S Jaishankar Told)
ভারতের অভিযানের পর, পাকিস্তান একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় জম্মু, পাঞ্জাব, রাজস্থান ও গুজরাটে অবস্থিত ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিগুলোর উপর (What S Jaishankar Told)। তবে, ভারতের এস-৪০০ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও অন্যান্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে এই হামলাগুলি প্রতিহত করা হয়।
ভারতের বিদেশ মন্ত্রীর বার্তা: পরিমিত প্রতিক্রিয়া
ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর মার্কিন বিদেশমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে এক ফোনালাপে বলেন, “ভারত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পরিমিত ও লক্ষ্যভিত্তিক প্রতিক্রিয়া জানাবে, তবে পাকিস্তানের যেকোনো সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধি করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোরভাবে প্রতিরোধ করবে।”
আরও পড়ুন: Pak F-16 shot down: ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী গুলি করে নামাল পাকিস্তানের এফ-১৬-জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান
আন্তর্জাতিক উদ্বেগ ও মধ্যস্থতা প্রচেষ্টা
এই উত্তেজনার প্রেক্ষিতে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া ও অন্যান্য দেশগুলি উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। মার্কিন বিদেশমন্ত্রী রুবিও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলেন এবং সরাসরি সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের উপর জোর দেন।
সীমান্তে পরিস্থিতি: নাগরিকদের দুর্ভোগ
উত্তর ভারতের পাঞ্জাব ও রাজস্থানে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে ব্ল্যাকআউট ঘোষণা করা হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে গোলাবর্ষণের কারণে হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। পাকিস্তানও সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
গভীর উদ্বেগের কারণ
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান এই উত্তেজনা দুই দেশের নাগরিকদের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শন ও সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে উৎসাহিত করা, যাতে এই সংঘর্ষ আরও বাড়তে না পারে।