ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: হঠাৎ যুদ্ধবিরতি কেন? হঠাৎ কেনই বা আমেরিকা ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাতের অবসানের ঘোষণা করল? শনিবার বিকেলের পর থেকে দেশজুড়ে এই প্রশ্নই সবথেকে বড় আকার নিয়েছে দেশবাসীর চর্চায়। কতদিন থাকবে যুদ্ধবিরতি? এই সমস্ত বিষয় নিয়ে আজ, সোমবার দুপুর ১২টায় ভারত ও পাকিস্তানের দুই দেশের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস (DGMO) বৈঠকে বসবেন (India Pakistan Meeting)। সেখানেই নির্ধারিত হবে এই যুদ্ধবিরতি কতটা দীর্ঘস্থায়ী হবে এবং এর ভবিষ্যৎ।
নতুন চুক্তির ইঙ্গিত? (India Pakistan Meeting)
এই আলোচনা ঘিরে দেশজুড়ে জল্পনা— নতুন কোনও যুদ্ধবিরতি চুক্তি কি আসন্ন? যদি হয়, তবে তার শর্ত কী হবে? দুই পক্ষই কীভাবে এই সংঘাত এড়াতে চায়? বিরোধী দলগুলির তরফে দাবি উঠেছে, যুদ্ধবিরতির পেছনে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতাকে কেন্দ্র করে কী পরিস্থিতিতে ভারত সরকার তা মেনে নিল, তা সংসদে ব্যাখ্যা দেওয়া হোক। এমনকি বিশেষ অধিবেশন ডাকার দাবি তোলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: BrahMos Unit: সীমান্তে গোলাগুলির মাঝে ‘ব্রহ্মস’ উদ্বোধন, শত্রুকে স্পষ্ট বার্তা ভারতের
৪০ পাক সেনার মৃত্যু (India Pakistan Meeting)
সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, ভারতের পাল্টা হামলায় পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অন্তত ৪০ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে। এতে স্পষ্ট— যে-ই কিছু বলুক না কেন, ইসলামাবাদ ছিল চাপে। সংঘাতের তীব্রতা এবং ভারতের জবাবে কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তানই প্রথম যুদ্ধবিরতির আবেদন জানায়।
পরমাণু সংঘাতের আশঙ্কা! (India Pakistan Meeting)
শুক্রবার বিকেল থেকেই নাটকীয় মোড় নেয় পরিস্থিতি। হোয়াইট হাউসের গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে আমেরিকা দ্রুত সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা বুঝতে পারে যে ভারত-পাকিস্তানের সীমান্ত সংঘাত দ্রুতই একটি ‘মারাত্মক’ রূপ নিতে চলেছে। যদিও ‘পরমাণু’ শব্দটি সরাসরি উচ্চারণ করা হয়নি, তবে ইঙ্গিত ছিল পরিষ্কার— সংঘাত এক বিপজ্জনক দিকে ধাবিত হচ্ছিল।

মোদি-মুনিরে ফোন কূটনীতির ঝড় (India Pakistan Meeting)
তখনই মধ্যরাতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্স। তিনি বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাচ্ছে, সরাসরি যোগাযোগ জরুরি।” সেই সময়েই মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিও ফোন করেন পাক সেনাপ্রধান আসিফ মুনিরকে। পরে তিনি কথা বলেন ভারত ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গেও।
‘শর্তসাপেক্ষ সংযম’ (India Pakistan Meeting)
এই কূটনৈতিক তৎপরতায় যোগ দেন সৌদি আরবের বিদেশমন্ত্রী ফয়জল বিন ফারহানও। তিনিও দুই দেশের মধ্যে আলোচনার পক্ষে মত দেন। এর পর ভারত জানিয়ে দেয়— যদি পাকিস্তান কোনওরকম আগ্রাসন না চালায়, তবে ভারতও সংযত থাকবে। তবে সামান্যতম আক্রমণ হলে তার জবাব আরও কঠোর হবে।
যুদ্ধ নয়, শান্তি খোঁজার সময়? (India Pakistan Meeting)
আজকের DGMO বৈঠক থেকে স্পষ্ট হবে— এই যুদ্ধবিরতি কতটা বাস্তবায়নযোগ্য, এবং কতদিনের জন্য কার্যকর থাকবে। তবে এটা নিশ্চিত, আন্তর্জাতিক মহলের চাপ এবং পরমাণু সংঘাতের সম্ভাবনা— এই দুইয়ের প্রভাবে আপাতত থেমেছে দুই দেশের যুদ্ধঘণ্টা।