Last Updated on [modified_date_only] by Debu Das
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মহাকাশ এখন ভারতের অন্যতম কৌশলগত হাতিয়ার। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো (ISRO)-র চেয়ারম্যান ভি নারায়ণ রবিবার জানান, মহাকাশে ভারতের ১০টি কৃত্রিম উপগ্রহ বর্তমানে সরাসরি দেশের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা রক্ষায় নিয়োজিত (ISRO Satelite Ensure Security)।ইম্ফলের কেন্দ্রীয় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ইসরো প্রধান এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেন।
কৌশলগত নজরদারিতে মহাকাশ প্রযুক্তি (ISRO Satelite Ensure Security)
ভি নারায়ণের বক্তব্য অনুযায়ী, এই ১০টি উপগ্রহ মূলত কৌশলগত নজরদারি, উপকূল রক্ষা ও সন্ত্রাসদমন সংক্রান্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে(ISRO Satelite Ensure Security)।
তিনি বলেন—
“আমাদের প্রতিবেশীদের কথা আপনারা সকলেই জানেন। দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে মহাকাশ প্রযুক্তির উপর নির্ভর করতেই হবে। কৃত্রিম উপগ্রহগুলির মাধ্যমে আমরা আমাদের ৭,০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ উপকূলরেখা এবং উত্তর সীমান্তের উপর নিরবচ্ছিন্ন নজরদারি চালাতে পারছি।”
জঙ্গি হানা ও সীমান্ত উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে মন্তব্য (ISRO Satelite Ensure Security)
এই বক্তব্য এসেছে এক সংবেদনশীল সময়-এ, যখন পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কয়েকদিন ধরে চলেছে সংঘর্ষ(ISRO Satelite Ensure Security)।
- ভারতীয় সেনা গত মঙ্গলবার পাকিস্তান এবং পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে চিহ্নিত ৯টি জঙ্গিঘাঁটিতে অভিযান চালায়।
- পরবর্তীতে পাকিস্তানের তরফ থেকে পাল্টা হামলা চালানো হয়।
- চারদিনের টানটান উত্তেজনার পরে মার্কিন মধ্যস্থতায় সংঘর্ষবিরতি চুক্তি সম্পন্ন হয় গত শনিবার।
এই পরিস্থিতিতে ইসরো প্রধানের মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি সরাসরি বোঝায় যে মহাকাশ এখন শুধু বিজ্ঞান নয়, বরং দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি অঙ্গ হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন: Taliban Bans Chess : আফগানিস্তানে তালিবান নিষিদ্ধ করল “দাবা”! কেন এই সিদ্ধান্ত?
২০৪০ সালের মধ্যে মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের লক্ষ্য(ISRO Satelite Ensure Security)
নারায়ণ আরও জানান, ভারত এখন একটি শক্তিশালী মহাকাশ শক্তিতে পরিণত হচ্ছে। তাঁর দাবি,
“২০৪০ সালের মধ্যে ভারত নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন তৈরি করে ফেলবে।”
এছাড়াও তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত ভারত ৩৪টি দেশের মোট ৪৩৩টি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করেছে, যা ইসরোর সক্ষমতার নিদর্শন।

কৃত্রিম উপগ্রহ ও ড্রোন— ভবিষ্যতের যুগ্ম প্রযুক্তি(ISRO Satelite Ensure Security)
নারায়ণ জোর দিয়ে বলেন, দেশের নিরাপত্তায় শুধু উপগ্রহ নয়, ড্রোন প্রযুক্তিও সমান গুরুত্বপূর্ণ(ISRO Satelite Ensure Security)।
তিনি বলেন,
“আগামী দিনের যুদ্ধ বা সুরক্ষা কৌশলে কৃত্রিম উপগ্রহ ও ড্রোন মিলেই একসঙ্গে কাজ করবে। এই দুটি প্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার দিয়ে আমরা ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।”

স্পষ্ট কৌশলগত বার্তা (ISRO Satelite Ensure Security)
ইসরো প্রধানের এই মন্তব্য শুধু বিজ্ঞান বা প্রযুক্তির প্রসঙ্গ নয়, বরং এটি একটি স্পষ্ট কৌশলগত বার্তা(ISRO Satelite Ensure Security)। বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারতের সুরক্ষায় মহাকাশ প্রযুক্তি যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, তা আর একবার প্রতিপন্ন হল তাঁর বক্তব্যে।কেবল মহাকাশে অভিযান নয়, এবার নিরাপত্তা, নজরদারি, সীমান্তরক্ষা এবং কৌশলগত প্রতিরোধ— এই সব ক্ষেত্রেও ভারত মহাকাশকে হাতিয়ার করছে, আর তার কেন্দ্রে রয়েছে ইসরো।