ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বেছে বেছে নিরীহ পর্যটকদের হত্যা করেছিল জঙ্গিরা। পাকিস্তানের জঙ্গী সংগঠন এর দায় স্বীকার করেছিল। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের জবাবে গত ৬ মে গভীর রাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাক পঞ্জাবের ন’টি জঙ্গিডেরা ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। অপারেশন সিঁদুরের পর পাকিস্তান নানা ভাবে বারবার হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে। তা রুখে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। অবশেষে সংঘর্ষবিরতিও হয়। কিন্তু শনিবার বিকেলে সংঘর্ষবিরতির পর রাতেই ফের সীমান্তে নানা কার্যকলাপ দেখা যায়। গতকাল সাংবাদিকদের সামনে সবটাই তুলে ধরেন ভারতের তিন বাহিনীর প্রধান। এ দিন আরও একটি প্রেস ব্রিফিং হয় ভারতের ডিজিএমও (DGMO) রাজীব ঘাই ও তিন বাহিনীর প্রধান। সেখানেই উদাহরণ হিসেবে লিলি, থমসন, বিরাট কোহলির প্রসঙ্গ ডিজিএমও-র মুখে।
ভারতীয় সেনা কর্তার মুখেও বিরাট প্রসঙ্গ(DGMO)
রোহিত শর্মার অবসরের পরই গত কয়েক দিন ধরেই কানাঘুষো ভারতীয় ক্রিকেটের অলিন্দে ঘুরছিল, বিরাটের(Virat Kohli)টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা।। শোনা যাচ্ছিল, বিরাট নাকি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে টেস্ট ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। এবার সেটাই সত্যি হল। টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন কিং কোহলি। ভারতীয় ক্রিকেট মহলে এই খবরে চূড়ান্ত হতাশা। ভারত এবং বিশ্ব ক্রিকেটের কিংবদন্তিরা বিরাটের এই সিদ্ধান্তে অবাক। তবে এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে নানা বার্তা, শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। এ বার সেনা কর্তার মুখেও বিরাট প্রসঙ্গ।
অপারেশন সিঁদুর নিয়ে প্রেস ব্রিফিং ডিজিএমও-র(DGMO)
অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সোমবার সকালে আরও একটি প্রেস ব্রিফিং করা হয়। ডিজিএমও(DGMO)ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তিন বাহিনীর প্রধান। সেই প্রেস ব্রিফিংয়ে ভারতের ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশন্স (ডিজিএমও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই বলেছেন যে বিরাট কোহলি তাঁর প্রিয় ক্রিকেটার। প্রেস ব্রিফিংয়ে দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে নানা বিষয়ে কথা বলছিলেন।
কোন বার্তা পাকিস্তানকে?(DGMO)
একটি উদাহরণ হিসেবে বিরাট প্রসঙ্গে ডিজিএমও রাজীব ঘাই বলেন, ‘আমি দেখছিলাম, বিরাট কোহলি টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছে। বেশির ভাগ ভারতীয়র মতো বিরাট আমারও অন্যতম প্রিয় ক্রিকেটার। ৭০-র সময় আলোচিত অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড অ্যাসেজ সিরিজ প্রসঙ্গের কথা বলি। অস্ট্রেলিয়ার দুই কিংবদন্তি পেসার জেফ থমসন এবং ডেনিস লিলি ইংল্যান্ড ব্যাটিং আক্রমণকে প্রবল চাপে ফেলেছিলেন। ওদের দাপট এতটাই ছিল যে অস্ট্রেলিয়ানদের মধ্যে একটা প্রবাদ চালু হয়, অ্যাসেজ টু অ্যাসেজ, ডাস্ট টু ডাস্ট, যদি থমোর (থমসন) থেকে পার পাও, লিলির থেকে পাবে না। আমাদের ডিফেন্স সিস্টেমের স্তর নিয়েও যদি বলি, আশা করি আপনারা আন্দাজ করতে পারছেন। সব স্তর থেকেও যদি কেউ পার পায়, আমাদের সিস্টেমের একটা লেয়ার অন্তত ধরেই ফেলবে।’