ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ পেরিয়েছে দুই বছরের বেশি সময়। হামলা ও পাল্টা হামলায় বিপর্যস্ত দুই দেশের জীবন ও অর্থনীতি (Russia Ukraine War)। এর মাঝেই ফের আশার আলো দেখালেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি (Volodymyr Zelenskyy)। সোমবার তিনি জানালেন, যুদ্ধবিরতি নিয়ে সরাসরি আলোচনার জন্য রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। আসন্ন ১৫ মে বৃহস্পতিবার, তুরস্কের ইস্তানবুলে আলোচনার টেবিলে বসতে প্রস্তুত তিনি—এই বার্তাই দিলেন জ়েলেনস্কি। এদিন জ়েলেনস্কি বলেন, “আমি আগামী বৃহস্পতিবার ইস্তানবুলে পুতিনের জন্য অপেক্ষা করব।” প্রসঙ্গত, ওই দিন তুরস্কের উদ্যোগে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা। যদিও পুতিন (Vladímir Putin) নিজে এই আলোচনায় যোগ দেবেন কি না, তা এখনও নিশ্চিত করেনি ক্রেমলিন(Russia Ukraine War)।
রাশিয়ার নতুন প্রস্তাব এবং দ্বিচারিতা? (Russia Ukraine War)
রবিবারই রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন জানিয়েছিলেন, তিনি কোনও মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে নয়, বরং সরাসরি ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা করতে চান (Russia Ukraine War)। জ়েলেনস্কির এই প্রতিক্রিয়া সেই মন্তব্যেরই পরিপ্রেক্ষিতে এসেছে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে একই সময়, যখন আলোচনার সম্ভাবনা জোরদার হচ্ছে, তখনই নতুন উদ্যমে ড্রোন হামলা শুরু করেছে রুশ সেনাবাহিনী।এই ঘটনাকে কূটনৈতিক মহলের একাংশ দ্বিচারিতা বলেই দেখছে—একদিকে আলোচনার প্রস্তাব, অন্যদিকে সামরিক আগ্রাসন জারি রাখা।
৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির দাবি(Russia Ukraine War)
এদিকে ইউক্রেন এবং তার পশ্চিমি মিত্র দেশগুলি—ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেন, পোল্যান্ড সহ আরও কয়েকটি রাষ্ট্র রবিবারই ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছিল(Russia Ukraine War)। সেই দাবি কার্যকর করার আহ্বান জানানো হয় সোমবার থেকেই। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পুতিনের সরাসরি আলোচনার ইচ্ছাপ্রকাশ ঘটে, যা কূটনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।

ধ্বংসস্তূপে দুই দেশ(Russia Ukraine War)
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এই যুদ্ধ এখনও থামার নাম নিচ্ছে না। রুশ হামলায় ইউক্রেনের বহু শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে(Russia Ukraine War)। প্রাণ হারিয়েছেন কয়েক হাজার অসামরিক নাগরিক ও সেনা। লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া হয়ে পাড়ি দিয়েছেন পোল্যান্ড এবং পূর্ব ইউরোপের অন্য দেশে।শীতে সাময়িকভাবে কিছু যুদ্ধবিরতির ইঙ্গিত মিললেও, গ্রীষ্মের আগমনে ফের নতুন করে যুদ্ধ জোরদার হয়েছে। এখন প্রশ্ন একটাই—পুতিন কি সত্যিই আলোচনায় বসবেন? নাকি এটিও কেবল আন্তর্জাতিক চাপ এড়ানোর একটি কৌশল মাত্র?

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া(Russia Ukraine War)
আমেরিকা, ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরেই যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে(Russia Ukraine War)। এখন দেখার, তুরস্কের মাটিতে ১৫ মে আসলে কোনও ঐতিহাসিক শান্তি আলোচনার সূচনা হয় কি না।যদিও এখনও পর্যন্ত পুতিন বা ক্রেমলিনের তরফে সরাসরি আলোচনায় যোগদানের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি। তবে জ়েলেনস্কির এই সরাসরি আমন্ত্রণ যুদ্ধ পরিস্থিতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ের ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।