ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে নিজেই বিপাকে পড়ল পাকিস্তান (Akashteer Air Defence System)। চিনা প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে গঠিত তাদের ‘অভেদ্য প্রতিরক্ষা প্রাচীর’—যাকে তারা নাম দিয়েছে ‘অপারেশন বুনিয়ান-আন-মারসুস’—তাতে কার্যত ধস নামাল ভারতীয় প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ‘আকাশতির’। পাকিস্তানের ছোড়া একের পর এক ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, এবং ইউএভি যখন ভারতের সীমান্ত সংলগ্ন অঞ্চলে হামলা চালানোর চেষ্টা করে, তখন সেই সমস্ত হুমকিকে রুখে দিয়ে কার্যত অজেয় প্রমাণিত হয় এই দেশীয় প্রযুক্তি।
আকাশতির-আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (Akashteer Air Defence System)
‘আকাশতির’—ভারতের ডিআরডিও, ইসরো এবং ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (বিইএল)-এর যৌথ উদ্ভাবন (Akashteer Air Defence System)। এটি একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যার দক্ষতা প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে আসে গত ৯ ও ১০ মে রাতের পাল্টা হামলার সময়ে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে চালানো অপারেশন ‘বুনিয়ান-আন-মারসুস’ (যার অর্থ ‘শিসার প্রাচীর’) অভিযানে ভারতের আকাশ সীমান্তে আছড়ে পড়ে একাধিক ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র। কিন্তু ‘আকাশতির’ সেই হামলাগুলি প্রতিহত করে দেয়, এবং কোনও লক্ষ্যই ভারতের ভিতরে আঘাত হানতে সক্ষম হয়নি।
কী রয়েছে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায়? (Akashteer Air Defence System)
একটি ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্টে এবিষয়ে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছে এই প্রযুক্তির কার্যপ্রণালী (Akashteer Air Defence System)। সেখানে জানানো হয়, ‘আকাশতির’-এর তিনটি প্রধান উপাদান— রেডার, সেন্সর এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা — যৌথভাবে কাজ করে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে হুমকি শনাক্ত ও প্রতিহত করতে। রেডার থেকে প্রাপ্ত তথ্য, আবহাওয়া, ভূখণ্ড এবং বিভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে এআই সিস্টেম নিজেই সিদ্ধান্ত নেয় কী ধরনের প্রতিরক্ষা পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।

ভারত বনাম চিনা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা (Akashteer Air Defence System)
এই প্রযুক্তির বিশেষত্ব হল, এটি শুধু তথ্য সংগ্রহ করে না, বরং ‘বুদ্ধিমান যুদ্ধকৌশল’ প্রয়োগ করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেয় এবং দ্রুত পাল্টা হামলা করে (Akashteer Air Defence System)। এটি শুধু আকাশ নয়, মাটির অনেক নিচে থাকা শত্রু ঘাঁটি ও অস্ত্র চলাচলের ওপরও নজর রাখতে সক্ষম। অন্যদিকে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যেটি চিনা এইচকিউ-৯ ও এইচকিউ-১৬ প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল, তা ভারতীয় বাহিনীর ( INDIAN ARMY) ‘অপারেশন সিঁদুর’ প্রতিহত করতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়।

আরও পড়ুন: Pahalgam Terror Attack : কীভাবে জোড়া ‘অপারেশন’-এ ছয় জঙ্গিকে নিকেশ করা হল?জানালো সেনা এবং পুলিশ!
ভারতের প্রতিরক্ষার নতুন স্তম্ভ (Akashteer Air Defence System)
ভারতের তৈরি এই প্রযুক্তি শুধু কৌশলগত দিক থেকে নয়, বাস্তবিক প্রয়োগেও প্রমাণ করেছে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব (Akashteer Air Defence System)। যানে চাপিয়ে এক স্থান থেকে অন্যত্র সহজে সরিয়ে নেওয়া যায় এই ব্যবস্থা, ফলে চটজলদি মোতায়েন ও অভিযানে ব্যবহারের জন্য আদর্শ।বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘আকাশতির’ এখন ভারতের প্রতিরক্ষার নতুন স্তম্ভ। এটি শুধু পাকিস্তান নয়, ভবিষ্যতের প্রতিপক্ষ ও অপ্রত্যাশিত হুমকির বিরুদ্ধে ভারতের আত্মরক্ষায় কার্যকর ঢাল হয়ে উঠবে। পাশাপাশি, ভারতের আত্মনির্ভর প্রতিরক্ষা উদ্যোগের (আত্মনির্ভর ভারত) অন্যতম সাফল্য হিসেবেও এই প্রযুক্তিকে দেখা হচ্ছে। চিনা প্রযুক্তিকে টপকে গিয়ে ভারতীয় বুদ্ধিমত্তা ও আত্মবিশ্বাসই আজ আকাশসীমায় চূড়ান্ত নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে—‘আকাশতির’ যেন সেই নির্ভরতার নাম।