ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মেক্সিকোর নৌবাহিনীর একটি জাহাজ (Mexican Navy Ship) নিউ ইয়র্কের ঐতিহ্যবাহী ব্রুকলিন সেতুর নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় জাহাজে থাকা দু’জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অন্তত ১৯ জন আহত হয়েছেন। জাহাজটি আলোকিত অবস্থায় ব্রুকলিন সেতুর নিচ দিয়ে চলছিল, তবে তিনটি মাস্তুল সেতুর নীচের অংশে ঠেকে যাওয়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। এর ফলে দুটি মাস্তুল ভেঙে যায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয় জাহাজটির বেশ কিছু অংশ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিও (Mexican Navy Ship)
স্থানীয় সময় শনিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ জাহাজটি নিউ (Mexican Navy Ship) ইয়র্কের দিকে এগোচ্ছিল, যার আশপাশে বহু মানুষ দাঁড়িয়ে ছিল। সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা যায়, সেতুর নীচে মাস্তুলগুলির সংঘর্ষ হতেই জাহাজের আলো নিভে যেতে থাকে, এবং এতে বেশ কয়েকজন নাবিক ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যান। এই দুর্ঘটনার পর, জাহাজটি ধীরে ধীরে নদীর এক পাশের দিকে চলে যায়। যদিও এই ভিডিওগুলির সত্যতা সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
চারজনের অবস্থা গুরুতর (Mexican Navy Ship)
নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস দুর্ঘটনার পর এক সাংবাদিক বৈঠক করেন এবং জানান যে, দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৯ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে চারজনের (Mexican Navy Ship) অবস্থা গুরুতর। তিনি আরও জানান, নিউ ইয়র্কের দমকল বিভাগ দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। তবে দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখনও কোনও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়নি।
সেতুর সাথে সংঘর্ষ
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, দুর্ঘটনাগ্রস্ত জাহাজটির নাম ‘কহটেমক’। এটি মেক্সিকোর নৌবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ জাহাজ, যা সাধারণত শিক্ষানবিশ নৌসেনাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হয়। জাহাজটির ১৫টি দেশের ২২টি বন্দরে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল, এবং শনিবার নিউ ইয়র্ক বন্দরে পৌঁছানোর পর এটি ব্রুকলিন সেতুর নিচ দিয়ে যাচ্ছিল। সেতুর সাথে সংঘর্ষের ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে এবং তা দ্রুতই সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন: Bagbazar : খাস কলকাতায় রহস্যময় মৃত্যু, বাগবাজারে নির্মীয়মান বহুতলে উদ্ধার অগ্নিদগ্ধ দেহ

এটি মেক্সিকোর নৌবাহিনীর জন্য একটি বড় ধাক্কা। এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনার বিস্তারিত কারণ জানানো হয়নি, তবে এই ঘটনার পর তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। উদ্ধার কাজ চালানোর পাশাপাশি, দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করার জন্য একটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনা মেক্সিকো, নিউ ইয়র্ক এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে।