ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পাকিস্তানি গুপ্তচর সন্দেহে ধৃত হরিয়ানার জ্যোতি মালহোত্রের (Jyoti Malhotra) বাংলাদেশ সফর নিয়ে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে। জানা যাচ্ছে, তিনি তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে যেসব ছবি আপলোড করেছেন, তা দেখে সন্দেহ বেড়েছে যে, তিনি ট্রাভেল ব্লগিংয়ের আড়ালে পাকিস্তানে তথ্য পাচারের কাজও করছেন। বিশেষ করে, কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর জায়গায় তাঁর উপস্থিতি এবং ছবি তোলার ঘটনা রহস্য সৃষ্টি করেছে।
জ্যোতির সোশ্যাল মিডিয়া ব্লগ (Jyoti Malhotra)
জ্যোতির সোশ্যাল মিডিয়া ব্লগে দেখা গেছে, তিনি কলকাতার বিভিন্ন ব্যস্ত স্টেশন (Jyoti Malhotra) যেমন শিয়ালদা, হাওড়া এবং দমদমে ছবি তুলেছেন। এছাড়াও, তিনি নদিয়ার গেদে সীমান্তের ছবি প্রকাশ করেছেন, যা সাধারণ পর্যটকদের জন্য একেবারে অস্বাভাবিক। সীমান্ত এলাকায় ছবি তোলার ঘটনা বিশেষত সন্দেহজনক, কারণ এটি একটি স্পর্শকাতর অঞ্চল যেখানে শুধুমাত্র বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষেই প্রবেশ করা সম্ভব। এছাড়াও, তাঁর ব্লগে বরানগর মেট্রো, দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ছবি রয়েছে, যা আরও প্রশ্ন তুলছে।
সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে (Jyoti Malhotra)
জ্যোতি মালহোত্রের ট্রাভেল ব্লগে শুধু কলকাতার (Jyoti Malhotra) ছবিই নয়, ভুটান যাওয়ার পথে সেবক রোডের করোনেশন ব্রিজের ছবি তোলার বিষয়টি নজর কেড়েছে। কলকাতা বিমানবন্দর, রেললাইনের পাশে ঝুপড়ি, কাঁকুড়গাছি ব্রিজ, বালি ব্রিজ, দামোদর ব্রিজ—এই সব জায়গার ছবি তোলার ঘটনা সাধারণ পর্যটকের মতো নয়। তাঁকে সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে, বিশেষত যেহেতু তিনি তিনবার কলকাতা এসেছেন এবং প্রতিবারই ট্রেনে চেপে কলকাতায় আসেন। এর পরেই দুই মাস আগে তিনি পাকিস্তানে যান, যা সন্দেহ আরও গভীর করেছে।
পাক গুপ্তচর সংস্থা-র সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগ
জ্যোতি মালহোত্রের পাকিস্তানে যাওয়া এবং পাক গুপ্তচর সংস্থা ISI-র সঙ্গে যোগাযোগের অভিযোগও উঠেছে। তিনি ভারতের সেনাঘাঁটি এবং সেনা প্রস্তুতি সংক্রান্ত অত্যন্ত সংবেদনশীল তথ্য পাকিস্তানে পাঠিয়েছেন। বিশেষ করে, ২০২৩ সালে তিনি পাকিস্তানে গিয়েছিলেন এবং সেখানে তাঁর পরিচয় হয়েছিল পাকিস্তান দূতাবাসের আধিকারিক দানিশের সঙ্গে। পাকিস্তানে থাকার পর তিনি ভারতে ফিরে আসলেও, দানিশের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ অব্যাহত ছিল।

আরও পড়ুন: Joe Biden Health Condition: ক্যানসারে আক্রান্ত জো বাইডেন, মূত্রাশয়ে ছড়িয়ে পড়েছে রোগ!
এসব ঘটনার পর, সন্দেহ বেড়েছে যে জ্যোতি ট্রাভেল ব্লগিংয়ের আড়ালে গুরুত্বপূর্ণ সামরিক এবং রাজনৈতিক তথ্য পাচার করছিলেন। ভারতীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলি এই বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করছে, এবং জ্যোতির পাক সংস্থার সঙ্গে সম্পর্ক ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে আরও তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে।