ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দেশজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থার সঙ্গে ভারতীয় নাগরিকদের যোগাযোগ নিয়ে (Pakistani Spy Link)। সাম্প্রতিক তদন্তে উঠে এসেছে, পাকিস্তান তাদের গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক বিস্তারে নতুন কৌশল নিয়েছে—এইবার নিশানা করা হচ্ছে সমাজমাধ্যম প্রভাবীদের। হরিয়ানা পুলিশের দাবি, জনপ্রিয়তা ও অর্থের লোভ দেখিয়ে ভারতীয়দের নিজেদের ‘অ্যাসেট’ হিসেবে গড়ে তুলছে পাক গুপ্তচররা।
পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার আট (Pakistani Spy Link)
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত পাকিস্তানকে তথ্য পাচারের অভিযোগে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে মোট আটজন গ্রেফতার হয়েছেন (Pakistani Spy Link)। তাদের মধ্যে কেউ ইউটিউবার, কেউ ব্যবসায়ী, কেউ বা বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী। হরিয়ানার হিসারের পুলিশ সুপার শশাঙ্ককুমার সাওয়ানের কথায়, “আধুনিক যুদ্ধ আর কেবল সীমান্তে হয় না। এখন সমাজমাধ্যমের মাধ্যমেও দেশকে দুর্বল করার চেষ্টা চলছে।”
সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর নাম হরিয়ানার ৩৩ বছর বয়সি সমাজমাধ্যম প্রভাবী জ্যোতি মলহোত্রা। তিনি ইউটিউবে ভ্রমণবিষয়ক ভিডিও বানিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। তদন্তে উঠে এসেছে, পাকিস্তানি গুপ্তচররা তাঁকে ‘অ্যাসেট’ বানাতে চাইছিল। তিনি কী পরিমাণে তাদের সহযোগিতা করেছিলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কারা কারা গ্রেফতার? (Pakistani Spy Link)
একের পর এক গ্রেফতারি ঘটছে বিভিন্ন জায়গায় (Pakistani Spy Link)। কৈঠাল থেকে ধরা পড়েছে ২৫ বছরের দেবেন্দ্রসিংহ ঢিলঁ, যিনি পটিয়ালার একটি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করছিলেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২৩ সালের নভেম্বরে তিনি পাকিস্তান সফরে গিয়ে সেখানে গুপ্তচরদের সংস্পর্শে আসেন এবং পরে সেনা ছাউনির ছবি তাদের পাঠান।
পানিপত থেকে গ্রেফতার নুমান ইলাহি, বয়স ২৪, পেশায় নিরাপত্তাকর্মী। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানি সংস্থার থেকে টাকা পেয়ে তিনি গোপন তথ্য সরবরাহ করতেন। সেই টাকা সরাসরি তাঁর এক আত্মীয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হতো, যার অবস্থান উত্তরপ্রদেশে।

তদন্তকারীরা কী জানতে পেরেছেন? (Pakistani Spy Link)
উত্তরপ্রদেশের শাহজ়াদ, পেশায় ব্যবসায়ী, একাধিকবার পাকিস্তানে যাওয়া-আসার ইতিহাস রয়েছে (Pakistani Spy Link)। তদন্তকারীরা (NIA India) দাবি করেছেন, সীমান্ত চোরাচালানের আড়ালে তিনি চরবৃত্তির কাজ করতেন। তাঁর সঙ্গে আইএসআই-এর যোগাযোগ ছিল বলেও প্রমাণ মিলেছে।এছাড়াও গুজরাতের জলন্ধর থেকে মুহাম্মদ মুর্তাজ়া আলি, পঞ্জাবের গজ়ল ও ইয়ামিন মহম্মদ—এই তিনজনকেও পাক গুপ্তচর সংস্থাকে তথ্য দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানাচ্ছে, সামাজিক মাধ্যমে ‘ভিউ’, ‘লাইক’ এবং ‘শেয়ার’-এর নেশা এবং আর্থিক লোভই এই তরুণ-তরুণীদের দুর্বল করে তোলে। প্রাথমিক তদন্তে আরও কয়েকজন সমাজমাধ্যম প্রভাবীর নাম উঠে এলেও, এখনই তা প্রকাশ করা হয়নি।এর মধ্যে ওড়িশার পুরী থেকে আরও এক সমাজমাধ্যম প্রভাবীর নাম উঠে এসেছে, যিনি জ্যোতির পরিচিত। তাঁর সঙ্গে পাকিস্তানি সংযোগ ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ কী জানাচ্ছে? (Pakistani Spy Link)
পুলিশের বক্তব্য, “এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় (Pakistani Spy Link)। পাকিস্তানি সংস্থা আইএসআই একটি সুপরিকল্পিত নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে চাইছে সমাজমাধ্যম ব্যবহার করে। ভারতীয় যুবসমাজকে লক্ষ্য করেই এই ফাঁদ পাতা হচ্ছে।”দুই-তিন দিনের মধ্যে তদন্তে বড় অগ্রগতি হতে পারে বলে আশা পুলিশের। নিরাপত্তা সংস্থাগুলি সতর্ক রয়েছে এবং দেশব্যাপী এই চক্র ভাঙার চেষ্টা জোরকদমে চলছে।