Last Updated on [modified_date_only] by Ananya Dey
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ (Calcutta High Court) হল বিকাশ ভবনের সামনে আন্দোলনকারী চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। আগামী বুধবার মামলার শুনানি।
আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে খন্ডযুদ্ধ (Calcutta High Court)
গত ১৩ দিন ধরে বিকাশ ভবনের সামনে সসম্মানে চাকরিতে বহালের দাবী জানিয়ে আন্দোলন করছেন এসএসসি-তে চাকরি হারানো যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিকাশ ভবনের সামনে চাকরি হারানো যোগ্য শিক্ষকরা বিকাশ ভবনের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন। এর ফলে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকেন বিকাশ ভবনে বিভিন্ন সরকারি দফতরের কর্মীরা। তাদের বার করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো খন্ড যুদ্ধ শুরু হয় আন্দোলনকারী শিক্ষকদের। দুই পক্ষের একাধিক গুরুতরভাবে আহত হন। এই ঘটনায় বিধাননগর থানা ১৭ জন আন্দোলনকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এমনকি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ এর জন্য ডেকে পাঠানো হয় (Calcutta High Court)।
আন্দোলনকারীদের থানায় হাজিরা (Calcutta High Court)
সোমবার ছ’জন আন্দোলনকারীকে হাজিরা দিতে বলা হয় থানায়। আবার কাউকে বুধবার থানায় হাজির দিতে বলা হয়েছে। সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, ভাঙচুর, সরকারি কর্মীদের কাজে বাধাদান-সহ একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। তাঁদের নোটিস পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, এই অভিযোগের ভিত্তিতে আন্দোলনকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। থানায় উপস্থিত না হলে বিএনএস-এর ৩৫(৬) ধারায় তাঁদের গ্রেফতার করা হতে পারে বলেও জানিয়েছে পুলিশ(Calcutta High Court)।
পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ
বিক্ষোভকারী শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, বিকাশ ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে তাঁদের মারধর করেছে শাসকদলের সমর্থকেরা। তাঁদের বক্তব্য, শাসকদলের সমর্থকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করে পুলিশ উল্টে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয় হয়ে ওছে। গত বৃহস্পতিবার এর ঘটনায় আন্দোলনকারী দুই শিক্ষক নেতা ইন্দ্রজিৎ মণ্ডল এবং সুদীপ কোনারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। তাঁদের অভিযুক্ত করে নোটিস পাঠিয়েছে পুলিশ। থানায় তলবও করা হয়েছে কয়েক জন আন্দোলনকারী শিক্ষককে। তাই পুলিশের বিরুদ্ধে অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তুলে তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।