ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ফের ক্ষোভ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিলিগুড়িতে অনুষ্ঠিত বিজনেস সামিটের মঞ্চ থেকে পুলিশের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিলেন তিনি (CM Slams Police)। ছোট ব্যবসায়ীদের প্রতি সহানুভূতির সুরে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, ব্যবসার পরিবেশ যেন বিঘ্নিত না হয়, সে বিষয়টি দেখতে হবে প্রশাসনকেই।
ছোট ব্যবসায়ীর অভিযোগেই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী (CM Slams Police)
বিজনেস সামিট চলাকালীন এক ছোট ব্যবসায়ী মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রকাশ্যে অভিযোগ জানান, “শিল্পপতিদের গাড়ি রাস্তায় চলাচলের সময় টোল ট্যাক্স, জিএসটি এবং পুলিশের হয়রানির কারণে কস্টিং বেড়ে যাচ্ছে।” এই অভিযোগ শোনার পরই প্রতিক্রিয়া দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: ‘আন্দোলন যেন হিংস্র না হয়’ চাকরিহারাদের উদ্দেশে বার্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের
‘ট্যাক্স নেয় কেন্দ্র, কিন্তু পুলিশ ট্যাক্স নেবে না’ (CM Slams Police)
বাইটে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “টোল ট্যাক্স, জিএসটি—সবকিছুই এখন কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে। আগে রাজ্য সরকারেরও কিছু নিয়ন্ত্রণ ছিল। এখন একটাই ট্যাক্স ব্যবস্থা। যদি রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে থাকত, তাহলে আমি বলতাম—রাজ্য এই ট্যাক্স নেবে না। তবে, আমরা কেন্দ্রের কাছে অনুরোধ করতে পারি ছোট ব্যবসায়ীদের কিছু ছাড় দেওয়ার জন্য।”
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, “পুলিশ যাতে কোনওভাবেই কারও কাছ থেকে টাকা না নেয়, সেটা দেখার দায়িত্ব পুলিশেরই। এ বিষয়ে কোনওরকম ছাড় দেওয়া হবে না।”
পুলিশের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ, ফের মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি (CM Slams Police)
এটি প্রথমবার নয়, মুখ্যমন্ত্রী এর আগেও একাধিকবার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে টাকা তোলার অভিযোগে বহুবার সরব হয়েছেন। এবারে সরাসরি ছোট ব্যবসায়ীদের সামনেই পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, “কারও থেকে কোনওভাবে টাকা নেওয়া চলবে না। এটা একেবারেই বরদাস্ত করা হবে না।”
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ‘আন্দোলন করারও লক্ষণরেখা আছে’ চাকরিহারা শিক্ষকদের বিক্ষোভে কড়া মুখ্যমন্ত্রী
শিল্প-বান্ধব পরিবেশ বজায় রাখার বার্তা
রাজ্যে শিল্প ও ব্যবসার পরিকাঠামো যাতে শক্তপোক্ত হয়, তার জন্য বারবার প্রশাসনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বারবার উল্লেখ করেছেন, বিনিয়োগ আসবে তখনই যখন সরকার ছোট-বড় সব ধরনের ব্যবসায়ীর পাশে থাকবে এবং প্রশাসন নিরপেক্ষ ও সহানুভূতিশীল আচরণ করবে।