ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বন্ধুত্ব মানেই কি সবসময় ভালোবাসা আর সমর্থন? আমরা প্রায়শই ভাবি, বন্ধুত্বের ভিত্তি হয় বিশ্বাস, স্নেহ আর সহানুভূতির উপর। কিন্তু সব বন্ধুত্ব কি সত্যিই ইতিবাচক হয়? উত্তর হল—না। অনেক সময় কাছের বন্ধুর মুখোশে থাকে এক বিষাক্ত সম্পর্ক (Toxic Friendship), যা আমাদের মানসিকভাবে ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্ত করে। আপনি যদি দ্বিধায় থাকেন, তাহলে এবার সময় এসেছে সম্পর্ক যাচাই করে নেওয়ার।
আজকের প্রতিবেদনে রইল বন্ধুত্ব toxic কিনা তা বোঝার ৭টি গুরুত্বপূর্ণ সাইন।
১. আপনি সবসময় দোষী বোধ করেন (Toxic Friendship)
বন্ধুর সঙ্গে কথা বলার পর বারবার মনে হয়, “আমি ভুল বলেছি” বা “সবসময় আমিই কেন দোষী?” তাহলে সাবধান হোন। সত্যিকারের বন্ধুত্বে একে অপরকে দোষ না দিয়ে সমাধানের পথ খোঁজা হয়।
২. আপনার সাফল্যে সে খুশি নয় (Toxic Friendship)
যখন আপনি ভালো কিছু অর্জন করেন, তখন সে ছোট করতে চায়, বা উদাসীন আচরণ করে? একজন প্রকৃত বন্ধু আপনার আনন্দে অংশ নেবে, ঈর্ষা করবে না।
আরও পড়ুন: Household Tips: মাস শেষে পকেট খালি? রইল টাকা বাঁচানোর ঘরোয়া মাস্টারপ্ল্যান
৩. সবসময় আপনাকেই প্রয়োজন—কিন্তু আপনাকে সময় দেয় না (Toxic Friendship)
সে যখন বিপদে পড়ে, তখন আপনাকে খোঁজে, কিন্তু আপনি সমস্যায় পড়লে সে দূরে থাকে? এই একপাক্ষিক সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদে আপনাকে নিঃশেষ করে দিতে পারে।
৪. সব কথায় নেতিবাচক মন্তব্য (Toxic Friendship)
আপনার পছন্দ, পোশাক, পছন্দের মানুষ বা ক্যারিয়ার—সবকিছু নিয়েই যদি সে উপহাস করে বা নেতিবাচক মন্তব্য করে, তাহলে এটা বন্ধুত্ব নয়, এটা মানসিক হেনস্থা।
৫. সে সবসময় আপনার আত্মবিশ্বাস ভেঙে দেয় (Toxic Friendship)
আপনি যদি সবসময় নিজের সিদ্ধান্তে সন্দেহ করতে থাকেন, এবং তার কথায় নিজের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেন—সেটা পরিষ্কার লক্ষণ toxic বন্ধুত্বের।
৬. গোপন কথা ফাঁস করা (Toxic Friendship)
আপনি বিশ্বাস করে যেসব কথা তাকে বলেন, সেগুলি যদি সে অন্যদের সঙ্গে আলোচনা করে, তাহলে সেটা বিশ্বাসঘাতকতা। বন্ধুত্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি হল বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: Reduce Dandruff: গরমে চুলের যত্নে পুদিনাতেই মুশকিল আসান! মিটবে চুল পড়া, খুশকির সমস্যা
৭. আপনি মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েন (Toxic Friendship)
প্রতিবার দেখা করার বা কথা বলার পর যদি নিজেকে drained মনে হয়, তবে সেটা healthy সম্পর্ক নয়। বন্ধুত্বে থাকা উচিত প্রশান্তি, চাপ নয়।

কী করবেন?
- নিজেকে প্রশ্ন করুন: এই বন্ধুত্ব আমাকে কী দিচ্ছে?
- প্রয়োজনে সেই সম্পর্ক থেকে ধীরে ধীরে দূরে সরে যান।
- নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি অগ্রাধিকার দিন।
টক্সিক বন্ধুত্ব এক ধরনের ‘silent stress’—যা বাইরে থেকে বোঝা যায় না, কিন্তু ভিতর থেকে মানুষকে ভেঙে দেয়। সম্পর্ক যেমনই হোক, সেটি যদি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে, তাহলে সে সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবা প্রয়োজন। বন্ধুত্বের মুখোশে লুকিয়ে থাকা toxicity চিনে ফেলার সাহস রাখুন।