ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বর্তমান সময়ে সমাজমাধ্যমে প্রায়ই নানা (Bad Breathe) দৈনন্দিন সমস্যার সমাধান দেওয়া হয়, যা কখনো সঠিক, কখনো আবার সন্দেহজনক। ওজন কমানো থেকে শুরু করে প্রসাধন, গায়ের দুর্গন্ধ, মুখের গন্ধ দূর করা— এসবের উত্তরও অনেক সময় সমাজমাধ্যমে পাওয়া যায়। সম্প্রতি, এক নেটপ্রভাবী মঞ্জু মিত্তল দাবি করেছেন, কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার পর মুখের গন্ধ দূর করার জন্য গ্লিসারিন দিয়ে কুলকুচি করলে সমস্যার সমাধান পাওয়া যাবে। তবে প্রশ্ন উঠছে, এই ঘরোয়া টোটকা কি সত্যিই কার্যকর?
অস্বস্তির কারণ (Bad Breathe)
পেঁয়াজ এবং রসুনের গন্ধের সমস্যা বেশ (Bad Breathe) প্রচলিত। বিশেষত স্যালাডে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়ার পর মুখে যে গন্ধ সৃষ্টি হয়, তা অনেকের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পুষ্টিবিদ রিয়া দেশাই জানাচ্ছেন, পেঁয়াজ এবং রসুনে থাকা সালফার যৌগের কারণে এই গন্ধ তৈরি হয়। যখন পেঁয়াজ বা রসুন কাটা বা চিবানো হয়, তখন তা থেকে বেরিয়ে আসে কিছু অ্যাসিড এবং উৎসেচক, যা মুখে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।
কাজের প্রমাণ নেই (Bad Breathe)
এখানে মঞ্জু মিত্তলের টোটকার কথা (Bad Breathe) আসে। গ্লিসারিনে গ্লিসেরল থাকে, যা গন্ধহীন এবং মিষ্টি স্বাদযুক্ত। গ্লিসারিনের মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করতে পারে এবং দাঁত ও মাড়ির জন্যও উপকারী হতে পারে। তবে চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী এই পন্থা নিয়ে কিছুটা সন্দিহান। তিনি বলেন, “গ্লিসারিন দিয়ে কুলকুচি করা কোনও কার্যকরী পন্থা হতে পারে না, কারণ এর কাজের প্রমাণ নেই।”
নুন জলে কুলকুচি
তিনি আরও যোগ করেন, “মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে ক্লোরহেক্সাডিন জাতীয় মাউথওয়াশ ব্যবহার করা সবচেয়ে ভাল পন্থা। তবে গ্লিসারিনের বদলে নুন জলে কুলকুচি করলেও কাজ হতে পারে।”
লেবুর জল বা শরবত
এছাড়া, পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তীও একই ধরনের মতামত দিয়েছেন। তিনি বলেন, “গ্লিসারিনের ব্যবহার নিয়ে কিছুটা সন্দেহ রয়েছে। যদি পেঁয়াজ বা রসুন খেয়ে মুখে দুর্গন্ধ হয়, তাহলে তা দূর করার আরও সহজ পন্থা রয়েছে।” তাঁর মতে, প্রথমত দাঁত মেজে নেওয়া উচিত। যদি মাউথওয়াশ ব্যবহার করতে না চান, তাহলে ঈষদুষ্ণ জলে লবঙ্গ দিয়ে কুলকুচি করাও কার্যকরী হতে পারে। এছাড়া, মুখে এলাচ রাখতে বা সাইট্রাস ফল যেমন লেবুর জল বা শরবত খাওয়ার মাধ্যমে মুখের গন্ধ দূর করা সম্ভব।
আরও পড়ুন: TMC: তৃণমূল সুপ্রিমোকে ফোন রিজিজুর, তৃণমূলের প্রতিনিধি কে? অভিষেককে মনোনীত করলেন নেত্রী
এখন, এই সব টোটকাগুলির মধ্যে কোনটি আদৌ কার্যকরী, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। তবে চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদরা সাধারণত সঠিক এবং বৈজ্ঞানিক পন্থার প্রতি বেশি গুরুত্ব দেন। তাই, ঘরোয়া টোটকাগুলির ব্যবহার করার আগে কিছুটা সতর্ক হওয়া উচিত।