ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষ বিরতি হলেও উত্তেজনা এখনও প্রশমিত হয়নি (Golden Temple)। এই আবহে বায়ুসেনা আধিকারিক লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুমের ইভান ডি’কুনহা দাবি করেন, পাকিস্তানের ড্রোন হামলা থেকে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরকে রক্ষা করতে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম বসানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁর সেই দাবিকে ‘প্রচারমূলক’ বলে খারিজ করে দিয়েছেন স্বর্ণমন্দিরের প্রধান গ্রন্থী জ্ঞানী রঘবীর সিং। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে সেনার তরফে কেউ যোগাযোগ করেননি। এমনকি স্বর্ণমন্দিরে সমরাস্ত্র রাখা নিয়েও কোনও কথাও হয়নি।
স্বর্ণ মন্দিরের প্রধান গ্রন্থির বক্তব্য (Golden Temple)
মঙ্গলবার স্বর্ণ মন্দিরের প্রধান গ্রন্থি জ্ঞানী রঘুবীর সিং লেফটেন্যান্ট জেনারেল সুমের ইভান ডি’কুনহার বক্তব্য অস্বীকার করেছেন (Golden Temple)। তিনি বলেছেন, ‘কোনও সেনা কর্মকর্তা আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। কোনও বন্দুক মোতায়েনের বিষয়ে কথাও হয়নি, শ্রী দরবার সাহিবেও এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি। আমি ২২ দিনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটাতে ছিলাম। ২৪ এপ্রিল গিয়েছিলাম এবং ১৪ মে ফিরে এসেছি। আমি চলে যাওয়ার পরেই সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল এবং আমি ফিরে আসার আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির উচিত সেনাবাহিনীর দাবি তদন্ত করা এবং যদি কোনও এসজিপিসি সদস্য এই বিষয়ে জড়িত থাকে তবে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া।’ তবে অমৃতসরের সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে, প্রাক্তন অকাল তখৎ জাতেদার গিয়ানি রঘবীর সিং স্বীকার করেছেন যে, ‘শ্রী হরমন্দর সাহেবে ব্ল্যাকআউট বাস্তবায়নে এসজিপিসি সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে।’
এসজিপিসি-র বিবৃতি (Golden Temple)
অতিরিক্ত প্রধান গ্রন্থি গিয়ানি অমরজিৎ সিং-এর মাধ্যমে এসজিপিসি একটি সরকারি বিবৃতিও জারি করেছে (Golden Temple)। গিয়ানি রঘবীর সিং-এর অনুপস্থিতিতে স্বর্ণমন্দিরের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, স্বর্ণমন্দিরের তরফে বাইরের আলো বন্ধ করে জেলা প্রশাসনের ব্ল্যাকআউট সিদ্ধান্তে সহযোগিতা করা হয়েছিল। কিন্তু, ধর্মীয় আচরণবিধি পালনে কোনও ত্রুটি ছিল না। মন্দিরের ভিতরে আলো জ্বলছিল। সেনাবাহিনীকে কোনও অনুমতি দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন গিয়ানি অমরজিৎ সিং। নিশ্চিত করেছেন যে, স্বর্ণমন্দিরে কোনও সমরাস্ত্র মোতায়েন ছিল না।এসজিপিসি সভাপতি হরজিন্দর সিং ধামি বলেন, ‘কোনও সেনা অধিকারিক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি এবং মন্দিরে কোনও বিমান ক্ষেপনাস্ত্ররোধী বন্দুকও বসাতে দেওয়া হয়নি।’ তাঁর দাবি, ব্ল্যাকআউটের সময়ও ভক্তরা তাদের স্বেচ্ছা সেবা অব্যাহত রেখেছিলেন।
কী বলেছিলেন সেনা আধিকারিক? (Golden Temple)
এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ভারপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিক, ল্যাফটেন্যান্ট ডি’কুনহাবলেছিলেন, ‘স্বর্ণমন্দির কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে(Golden Temple)। পাক হামলা রুখতে স্বর্ণমন্দিরের কর্তৃপক্ষের তরফে আমাদের অনুমতি দেওয়া হয় ওই চত্বরে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও প্রয়োজনীয় সমরাস্ত্র মজুত রাখার। শুধু তাই নয়, স্বর্ণমন্দিরের ইতিহাসে বোধহয় প্রথমবার মন্দিরের সমস্ত আলো নিভিয়ে দেওয়া হয় যাতে হামলা চালাতে আসা ড্রোনগুলি আমরা দেখতে পাই।’ পাশাপাশি সেনাবাহিনীর ১৫ নম্বর ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) মেজর জেনারেল কার্তিক সি শেষাদ্রি জানান, হামলা হতে পারে আশঙ্কায় আগে থেকেই ‘নিরাপত্তার ছাতায়’ ঢেকে ফেলা হয়েছিল স্বর্ণমন্দির।
আরও পড়ুন- Spy Jyoti Malhotra: ‘দিল্লি যেত মেয়ে!’ গুপ্তচর ইউটিউবারের বাবার উল্টো সুর
স্বর্ণমন্দিরের অবস্থান (Golden Temple)
ভারত-পাক অটারী-ওয়াঘা সীমান্ত থেকে স্বর্ণমন্দিরের দূরত্ব মাত্র ৩১ কিলোমিটার(Golden Temple)। সেনার তরফে আগেই জানানো হয়, ভারত-পাক সামরিক সংঘাতের আবহে গত ৭-৮ মে রাতে অমৃতসরের স্বর্ণমন্দির লক্ষ্য করে ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তানি সেনা।