গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরে বড় বদল এসেছিল (Beating Retreat)। ৬ মে রাতে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পরে সংঘাতের আবহে আটারী-ওয়াঘা-সহ পাঞ্জাবের তিন সীমান্তেচৌকিতে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ‘বিটিং রিট্রিট’। অবশেষে ১২ দিন পরে মঙ্গলবার থেকে নতুন করে তা চালু হয়েছে। এরপরেই প্রশ্ন উঠেছে, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতিতে এই পদক্ষেপ কী সীমান্তে উত্তেজনা হ্রাস পাওয়ার ইঙ্গিত?
বিটিং রিট্রিট সেরিমনি’তে প্রবেশাধিকার ‘নয়’ (Beating Retreat)
মঙ্গলবার বিটিং রিট্রিট সেরিমনি দেখার জন্য সাধারণ নাগরিকদের প্রবেশাধিকার ছিল না(Beating Retreat)। শুধু সরকারি আধিকারিক, সাংবাদিক এবং বিশেষ ছাড়পত্র পাওয়া দর্শকরা বিটিং রিট্রিটের সময় উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু এদিন আটারি ওয়াঘার সীমান্ত বন্ধ ছিল। তবে বুধবার থেকে সামান্য পরিবর্তন আসবে বিটিং রিট্রিটে। সর্বসাধারণকে দেখার ছাড়পত্র দেওয়া হবে।
বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠান পদ্ধতি বদল (Beating Retreat)
পহেলগাঁও নৃশংস জঙ্গি হামলার পরে ‘বিটিং রিট্রিট’ অনুষ্ঠানের পদ্ধতিতেও বদল এনেছিল বিএসএফ(Beating Retreat)। বাতিল করা হয়েছিল রেঞ্জার্সের সঙ্গে করমর্দনের প্রথা। মঙ্গলবারও দু’বাহিনী করমর্দন করেনি। হয়নি সৌজন্যমূলক বাক্যালাপ।শুধু আটারী- ওয়াঘা সীমান্ত নয়, একইসঙ্গে পাঞ্জাবের ফিরোজপুরের হুসেইনিওয়ালা-সহ পাঞ্জাব ফ্রন্টেয়ার অন্তর্গত সব সীমান্তেও মঙ্গলবার থেকে রিট্রিট শুরু হয়েছে। তবে তা রেঞ্জার্সদের সঙ্গে হাত না মিলিয়ে। গেট বন্ধ করেই।
আরও পড়ুন- Golden Temple: স্বর্ণমন্দিরে সমরাস্ত্র রাখা ছিল না! বায়ুসেনার দাবি অস্বীকার প্রধান গ্রন্থীর
ভারত ও পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতি (Beating Retreat)
বর্তমানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি চলছে(Beating Retreat)। ১০ মে এই সংঘর্ষবিরতির কথা ঘোষণা করেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। সেই সময়ই হটলাইনে কথা হয়েছিল দুই দেশের ডিজিএমওর। এরপর ১২মে ফের কথা হয় তাঁদের। সে দিনের আলোচনা মতো আপাতত সংঘর্ষবিরতি চলছে। ১৮মে সেনা জানিয়েছে, এই সংঘর্ষবিরতির কোনও মেয়াদ নেই। অর্থাৎ নতুন করে উত্তেজনা তৈরি না হলে এটা চলবে। উল্লেখ্য জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিদের হত্যালীলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২৫ জনই পর্যটক এবং এক জন স্থানীয় বাসিন্দা। ওই হত্যাকাণ্ডের পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করে ভারত। স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি। আটারী সীমান্তে ভারতের ‘ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট’ বন্ধও করে দেওয়া হয়। যাঁরা বৈধ নথিতে এ দেশে এসেছিলেন, তাঁদের ১ মে’র মধ্যে একই পথে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- e-Zero FIR: সাইবার জালিয়াতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নতুন হাতিয়ার
বিটিং রিট্রিট-র সূত্রপাত (Beating Retreat)
১৯৫৯ সাল থেকে আটারী-ওয়াঘা সীমান্তের জয়েন্ট চেকপোস্ট-এ বিএসএফ এবং পাক রেঞ্জার্স-এর মধ্যে বিটিং রিট্রিট অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে(Beating Retreat)। যুদ্ধ পরিস্থিতি ছাড়া একমাত্র ২০২০ সালের করোনা পর্বের সময় বন্ধ রাখা হয়েছিল এই অনুষ্ঠান।ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অপারেশন সিঁদুর আবহে আবার এই প্রথা শুরুর অর্থ, সীমান্তে আবার আগের মতো স্থিতাবস্থা ফিরছে।