ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তান হাইকমিশনের এক আধিকারিক এহসান-উর-রহিম ওরফে দানিশকে ঘিরে চরবৃত্তির অভিযোগে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে (Youtuber Jyoti Malhotra)। গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, এই দানিশ আসলে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সক্রিয় এজেন্ট এবং তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় নাগরিকদের ফাঁদে ফেলে গোপন তথ্য সংগ্রহে লিপ্ত ছিলেন।
‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা, বহিষ্কার ভারতের (Youtuber Jyoti Malhotra)
পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক যখন অস্থির, তখনই ভারত সরকার দানিশকে ‘persona non grata’ বা অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বহিষ্কারের নির্দেশ দেয় (Youtuber Jyoti Malhotra)। বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানায়, ওই পাক আধিকারিক কূটনৈতিক শিষ্টাচারের সীমা লঙ্ঘন করে এমন কার্যকলাপে লিপ্ত ছিলেন যা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। তৎক্ষণাৎ দিল্লিতে নিযুক্ত পাকিস্তানি চার্জ দ্য’অ্যাফেয়ার্সকে তলব করে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিমার্শ পাঠানো হয়।
জ্যোতি মলহোত্রার সঙ্গে সংযোগে দানিশের নাম (Youtuber Jyoti Malhotra)
হরিয়ানার ইউটিউবার জ্যোতি মলহোত্রার বিরুদ্ধে চলা চরবৃত্তির মামলায় তদন্তে উঠে আসে দানিশের নাম (Youtuber Jyoti Malhotra)। অভিযোগ, দানিশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল জ্যোতির এবং তাদের আলাপ হয়েছিল দিল্লিতে পাক হাইকমিশনে ভিসা অফিসে সাক্ষাতের মাধ্যমে। সূত্র বলছে, ২০২৩ সালে পাকিস্তান সফরের আগে থেকেই জ্যোতির সঙ্গে দানিশের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং তা ক্রমেই গভীর হয়।

আইএসআই সংযোগ ও ষড়যন্ত্রের নকশা (Youtuber Jyoti Malhotra)
সংবাদ সংস্থার একটি প্রতিবেদনে অনুযায়ী, দানিশের পাসপোর্ট জারি হয় ইসলামাবাদ থেকে, এবং তাঁর ভিসা মঞ্জুর হয় ২০২২ সালের ২১ জানুয়ারি (Youtuber Jyoti Malhotra)। জন্মসূত্রে তিনি পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের নারোওয়াল জেলার বাসিন্দা। গোয়েন্দাদের (NIA India) সন্দেহ, “এহসান-উর-রহিম” বা “দানিশ”—নামদুটি আদৌ আসল কি না, সেটিও যাচাই করা হচ্ছে। দিল্লিতে পাক হাইকমিশনের ভিসা ডেস্কে কর্মরত দানিশের প্রধান কাজ ছিল ভারতীয় নাগরিকদের টার্গেট করে গোপন তথ্য জোগাড় করা। বিশেষ করে যাঁরা পাকিস্তান সফরে যেতে চেয়ে হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, তাঁদের ফাঁদে ফেলে চরবৃত্তিতে ব্যবহার করাই ছিল তাঁর উদ্দেশ্য।

পুরনো ইতিহাস আবার উন্মোচিত (Youtuber Jyoti Malhotra)
এই প্রথম নয়—ভারতে নিযুক্ত পাক কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে চরবৃত্তির অভিযোগ আগেও উঠেছে (Youtuber Jyoti Malhotra)। ২০২০ সালের মে মাসে দিল্লিতে পাক হাইকমিশনের দুই কর্মকর্তা—আবিদ হুসেন ও তাহির খান—কে আইএসআই-এর হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার পর ভারতের অনুরোধে পাকিস্তান হাইকমিশনের কর্মীসংখ্যা ১৮০ থেকে কমিয়ে ৯০ করা হয়।
কূটনীতির আড়ালে গুপ্তচরযুদ্ধ? (Youtuber Jyoti Malhotra)
দানিশ-জ্যোতি সংযোগ ও পহেলগাঁও কাণ্ডকে কেন্দ্র করে পাক হাইকমিশনের চরবৃত্তির অভিযোগ নিয়ে ভারত-পাক সম্পর্ক ফের একবার উত্তপ্ত হতে চলেছে। যদিও পাকিস্তান এখনও এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেনি বা দানিশকে ঘিরে কোনও আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি। ভারতের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই দানিশ এবং তাঁর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যোগাযোগগুলি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। তদন্তের পরবর্তী পদক্ষেপ যে কতটা কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে, তা এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।