ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ‘এখান থেকে বেরিয়ে যান।’ কাতার থেকে উপহারপ্রাপ্ত বোয়িং ৭৪৭ জেট নিয়ে প্রশ্ন তোলায় এনবিসি-র এক সাংবাদিককে প্রকাশ্যেই ভর্ৎসনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প(US President)।বুধবার হোয়াইট হাউসে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে বৈঠকের সময় এই ঘটনার সূত্রপাত। হাসিমুখে শুরু হলেও অল্প সময়ের মধ্যে বৈঠকে উত্তেজনা ছড়ায়।
সাংবাদিককে প্রকাশ্যে ভর্ৎসনা (US President)
বৈঠকে ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও তাঁদের জমি দখলের মিথ্যা অভিযোগ তোলেন(US President)। তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মতো বিতণ্ডায় না জড়িয়ে ট্রাম্পের বিস্ফোরক মন্তব্যে নিজেকে যথাসম্ভব শান্ত রাখার চেষ্টা করেন রামাফোসা।আর এরমধ্যেই কাতারি বোয়িং ৭৪৭-কে ভবিষ্যতের এয়ার ফোর্স ওয়ান হিসেবে রূপান্তর করার বিষয়ে প্রশ তোলেন এনবিসি-র ওই সাংবাদিক।জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আপনি কী বলছেন? এই প্রশ্নের কোন মানে হয় না। এখান থেকে বেরিয়ে যান। কাতারি জেট নিয়ে প্রশ্নের কোন প্রাসঙ্গিকতা নেই এই আলোচনায়। তারা আমাদের বিমানবাহিনীকে একটি জেট দিয়েছে, এটা খুব ভালো একটা বিষয়। আপনি একজন ভয়ংকর রিপোর্টার। আপনার রিপোর্টার হওয়ার যোগ্যতাও নেই, আপনি যথেষ্ট বুদ্ধিমান নন।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষোভ (US President)
এরপরেই এনবিসি ও এর মূল কোম্পানির কমকাস্টের সিইও ব্রায়ান রবার্টসকে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এই কোম্পানি ও এর নেতৃত্বাধীন ব্যক্তিদের তদন্ত হওয়া উচিত(US President)। আপনারা যেভাবে সংবাদমাধ্যম পরিচালনা করছেন, তা সত্যিই লজ্জাজনক। আপনার কাছ থেকে আর কোন প্রশ্ন নেব না।’ পরে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ একটি পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘এই জেট আমার জন্য নয়, এটি যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী/প্রতিরক্ষা দফতরের জন্য। এটি একটি দেশের (কাতার) উপহার, যারা আমাদের দ্বারা বহু বছর ধরে রক্ষিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন- PM Modi: যুদ্ধবিরতির পরেই সীমান্তবর্তী রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী! বাংলার প্রথম অমৃত ভারত স্টেশন
এয়ার ফোর্স ওয়ান (US President)
কাতারের তরফ থেকে একটি বোয়িং ৭৪৭ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীকে উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে, যা সাময়িকভাবে প্রেসিডেন্টের পরিবহন ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’ হিসেবে ব্যবহৃত হবে (US President)। তথ্য অনুযায়ী, কাতারের রাজপরিবারের দেওয়া বোয়িং ৭৪৭-এর মূল্য প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে, এই উপহার সম্পূর্ণভাবে যুক্তরাষ্ট্রের আইন ও নিয়ম মেনেই গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- Congress: ‘প্রধানমন্ত্রী নীরব কেন?’ ট্রাম্পের অপারেশন সিঁদুর বন্ধ দাবিতে সরব কংগ্রেস
পেন্টাগনের মুখপাত্র (US President)
পেন্টাগনের মুখপাত্র শন পারনেল বলেছেন, প্রতিরক্ষা বিভাগ ‘নিরাপত্তা এবং কার্যকরী-মিশনের চাহিদাগুলো সুনিশ্চিত করতে কাজ করবে(US President)।’ বিদেশি সরকারের কাছ থেকে উপহার গ্রহণ সংক্রান্ত আইনগুলো সম্পর্কে আইনি বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন। ডেমোক্র্যাটরাও এই হস্তান্তর ঠেকানোর চেষ্টা করেছেন। সিনেটের ডেমোক্রেটিক নেতা চাক শুমার বলেছেন, ‘আজ ইতিহাসের একটি অন্ধকার দিন। কারণ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট একটি বিদেশি সরকারের কাছ থেকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ঘুষ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছেন।’