ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: শহরের ফ্ল্যাট ক্রেতা ও সাধারণ মানুষের (Flat QR Scan) জন্য একটি নতুন ডিজিটাল ব্যবস্থা চালু করল কলকাতা পুরসভা। শহরে বেআইনি ফ্ল্যাট নির্মাণ ও অনুমতি ছাড়া বাড়ি তৈরির বিরুদ্ধে সঠিক এবং স্বচ্ছ যাচাইয়ের লক্ষ্যে এবার কিউআর কোড স্ক্যানিং পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়েছে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে কেউ সহজেই জানতে পারবেন কোনো ফ্ল্যাট বা নির্মাণ প্রকল্প বৈধ কি না।
বেআইনি প্রকল্পে বিনিয়োগ করছেন না (Flat QR Scan)
কোনো নির্মাণস্থলে একটি বোর্ডে কিউআর কোড এবং নির্মাণ সংক্রান্ত অনুমোদনের (Flat QR Scan) তথ্য সংযুক্ত থাকবে। এই কিউআর কোড স্ক্যান করলে ব্যবহারকারীরা তাদের মোবাইলে ওই নির্মাণের বৈধতা, অনুমোদিত প্ল্যান, জমির পরিমাণ, ফ্ল্যাটের মোট তল সংখ্যা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেখতে পারবেন। এর ফলে, ফ্ল্যাট কেনার সময় ক্রেতারা নিশ্চিত হতে পারবেন যে তারা বেআইনি প্রকল্পে বিনিয়োগ করছেন না।
প্রকল্পের বৈধতা যাচাই (Flat QR Scan)
কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের মতে, এই ব্যবস্থা পুরোপুরি ডিজিটাল (Flat QR Scan) এবং খুব সহজ। যেকোনো সাধারণ মানুষ খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে ওই কিউআর কোডটি স্ক্যান করে প্রকল্পের বৈধতা যাচাই করতে পারবেন। “এটি নাগরিকদের জন্য একটা বড় সহায়তা হবে। আমরা চাই যেন কেউ বেআইনি ফ্ল্যাটে বিনিয়োগ না করে,” কলকাতা পুরসভার এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান।
আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হবে
নির্মাণ এলাকায় এমন কিউআর কোড যুক্ত বোর্ড না থাকলে তা বেআইনি নির্মাণ হিসেবে ধরা হবে। কিউআর কোড স্ক্যান করেও যদি বৈধতার তথ্য পাওয়া না যায়, তাহলে সেটি সন্দেহজনক বলে গণ্য করা হবে। এই ধরনের প্রকল্পগুলির বিরুদ্ধে পুরসভা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে। প্রয়োজনে নির্মাণ বন্ধের নোটিস জারি করা হবে এবং আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হবে।

অন্যান্য প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে কলকাতা পুরসভা ডিজিটাল প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নগর উন্নয়নে একটি নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পুরসভা আধিকারিকরা জানিয়েছেন, তারা ভবিষ্যতে আরও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেআইনি নির্মাণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করবেন। এর আগে ডিজিটাল ওয়ার্ক ডায়েরি ও অন্যান্য প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।
অবৈধ নির্মাণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব
এই পদক্ষেপের ফলে শুধুমাত্র ক্রেতারাই লাভবান হবেন না, বরং শহরের অবৈধ নির্মাণ ও অতিরিক্ত তলা তৈরি করাও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। কলকাতা পুরসভার এই উদ্যোগের মাধ্যমে ভবিষ্যতে শহরের গৃহনির্মাণ খাতের স্বচ্ছতা বাড়বে এবং বাসিন্দাদের মধ্যে আস্থা গড়ে উঠবে।
কিউআর কোড স্ক্যানিং পদ্ধতি
তবে, এখনও অনেক নির্মাণস্থলে এই নতুন কিউআর কোড স্ক্যানিং পদ্ধতির ব্যাপারে জনসাধারণের সচেতনতা কম। তাই পুরসভা সচেতনতা বাড়ানোর জন্য প্রচার-প্রচারণার কাজ করছে এবং ভবিষ্যতে এই পদ্ধতিকে আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: Heavy Rain: বর্ষার আগমনী বার্তা? কেরলে ঢুকছে মৌসুমী বায়ু, দুর্যোগের আশঙ্কা বাংলায়
সর্বোপরি, এই পদক্ষেপকে অনেকেই এক অভিনব উদ্যোগ বলে অভিহিত করছেন যা শহরের নির্মাণ খাতকে আরও নিরাপদ এবং স্বচ্ছ করে তুলবে। এটি ফ্ল্যাট ক্রেতাদের জন্য একটি বড় নিরাপত্তা জোগাবে এবং বেআইনি নির্মাণ বন্ধে কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।