ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কলকাতার কালীঘাট এলাকায় পথদুর্ঘটনার তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। এক পুলিশকর্মীকে গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া চালক আজাদ শেখের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে আরও গুরুতর অভিযোগ—তিনি একজন বাংলাদেশি নাগরিক (Bangladeshi Arrested)। বিনা পাসপোর্ট বা ভিসা ভারতে অনুপ্রবেশ করে আজাদ শেখ। প্রায় দুই বছর ধরে অবৈধভাবে বসবাস করছিলেন কলকাতায়।
কীভাবে ফাঁস হল তথ্য? (Bangladeshi Arrested)
১৮ মে সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ, সদানন্দ রোডের মোড়ে WB04J3286 নম্বরের একটি প্রাইভেট গাড়ি বেপরোয়া ভাবে চালিয়ে নেতাজিনগর থানার এএসআই সুশেন দাসকে ধাক্কা মারেন অভিযুক্ত আজাদ শেখ। আহত সুশেনবাবুর বাঁ পা ভেঙে যায়, মুখে ও কোমরে গুরুতর আঘাত লাগে। প্রথমে SSKM হাসপাতালে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে কোঠারি মেডিকেল সেন্টারে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: Massive Fire: হাওড়ার মর্ডান মঙ্গলাহাটের গুদামে বিধ্বংসী আগুন, কালো ধোঁয়ায় ঢাকল এলাকা
এই দুর্ঘটনার পর কালীঘাট থানায় একটি এফআইআর দায়ের হয় এবং সেখান থেকেই আজাদকে গ্রেফতার করা হয় (Bangladeshi Arrested)। প্রথমে নিজেকে উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা বলে দাবি করলেও, পুলিশি তদন্তে তার কথার অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তার জমা দেওয়া বেশিরভাগ নথিই ভুয়ো বলে প্রমাণিত হয়।
কে এই আজাদ শেখ? (Bangladeshi Arrested)
তদন্তে উঠে আসে, আজাদ শেখ (৪১) বাংলাদেশের ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি থানার সাহাসরিল বাজার এলাকার বাসিন্দা। ভারতে প্রবেশের জন্য তাঁর কাছে কোনো বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসা ছিল না (Bangladeshi Arrested)। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের পর থেকে তিনি উত্তর ২৪ পরগনায় বসবাস করছিলেন। সেই সময় থেকেই সরকারি কর্মীদের কাছে মিথ্যা তথ্য দিচ্ছিলেন তিনি।
আইনি পদক্ষেপ
এই ঘটনায় কালীঘাট থানায় দায়ের হয়েছে দুটি পৃথক মামলা:
- মামলা নং: ১০৩ (তারিখ: ২১.০৫.২৫) – বিদেশি আইন ১৪A(b) এবং ভারতীয় ফৌজদারি আইনের BNS ২১২ ধারায়
- মামলা নং: ৯৯ (তারিখ: ১৮.০৫.২৫) – BNS-এর ২৮১/১২৫(b)/৩২৪(৪)/১১০ ধারায়
অভিযুক্ত বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে। গাড়িটিকে থানার চত্বরে আটক রাখা হয়েছে।
তদন্ত কী বলছে? (Bangladeshi Arrested)
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আজাদের ভারতে প্রবেশ ও থাকার পেছনে কোনও অপরাধচক্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে উঠে আসতে পারে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। তার নাগরিকত্ব যাচাইয়ের পাশাপাশি, সে কীভাবে এদেশে এতদিন ধরে অবস্থান করছিল, কারা তাকে সাহায্য করেছিল—সেসব দিকেও নজর দিচ্ছে পুলিশ।