ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পঞ্জাবের অমৃতসরে বাইপাসের ধারে ভয়াবহ বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডে ফের খলিস্তানি চক্রান্তের আঁচ মিলছে(Bomb Explosion)। মাজিথা এলাকায় এক যুবক বোমা রাখতে গিয়ে নিজেই বিস্ফোরণে আহত হন এবং পরে মৃত্যু হয়।পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত যুবক খলিস্তানপন্থী জঙ্গি সংগঠন ‘বব্বর খালসা’-র সদস্য। ঘটনার পর থেকেই গোটা এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাজুড়ে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।
কীভাবে ঘটল বিস্ফোরণ? (Bomb Explosion)
সোমবার গভীর রাতে বাইপাসের ধারে এক পরিত্যক্ত এলাকায় বোমা রাখতে এসেছিল এক যুবক(Bomb Explosion)।প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, হঠাৎই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। বোমাটি ঠিকমতো জায়গায় রাখার আগেই যুবকের হাতেই ফেটে যায়। বিস্ফোরণে তাঁর শরীরের একাধিক অংশ ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
খলিস্তানি যোগে নয়া উদ্বেগ(Bomb Explosion)
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত যুবক ছিলেন বব্বর খালসা-র সক্রিয় সদস্য। তাঁর পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে তদন্তের স্বার্থে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও কারও খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু সন্দেহজনক সামগ্রী, যেগুলির ফরেনসিক পরীক্ষা চলছে।

ভিডিও ফুটেজে বিস্ফোরণের দৃশ্য(Bomb Explosion)
ঘটনার পর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে একটি ভিডিয়ো, যেখানে দেখা যায় বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থল থেকে ধোঁয়া উড়ছে, আশপাশে আতঙ্কিত মানুষ ছুটোছুটি করছেন। এর পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ এলাকা ঘিরে ফেলে, বম্ব স্কোয়াড ডাকা হয় এবং তল্লাশি চালানো হয়।
বড় ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা, এনআইএ নজরে (Bomb Explosion)
পুলিশ এবং গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান, এটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং বৃহৎ হামলার প্রস্তুতি ছিল। সূত্রের দাবি, বোমা বা আগ্নেয়াস্ত্র সীমান্ত পেরিয়ে পাচার করে নির্জন জায়গায় রেখে তা পরে ব্যবহার করা হয়, অতীতে এমন ঘটনা অনেকবার ঘটেছে। ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হতে পারে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA)-কে। পঞ্জাব পুলিশ ইতিমধ্যেই এনআইএ-র সঙ্গে প্রাথমিক স্তরে তথ্য বিনিময় করেছে।

পহেলগাঁও হামলার পর দেশের নানা প্রান্তে সতর্কতা(Bomb Explosion)
সম্প্রতি কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর থেকেই দেশজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে গোয়েন্দা নজরদারি এবং বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটগুলির তৎপরতা বেড়েছে। বিশেষ করে পঞ্জাব, জম্মু-কাশ্মীর, রাজস্থান ও গুজরাত-এ।
স্বর্ণমন্দিরে হামলার ছক?(Bomb Explosion)
গোয়েন্দা সূত্রের দাবি, সম্প্রতি স্বর্ণমন্দিরে হামলার পরিকল্পনারও হদিস পাওয়া গেছে(Bomb Explosion)। খলিস্তানপন্থীরা পঞ্জাবকে অস্থির করার উদ্দেশ্যে সামাজিক মাধ্যম, ধর্মীয় উৎসব ও জনবহুল স্থানকে নিশানা করতে পারে—এই আশঙ্কায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।অমৃতসরে বোমা বিস্ফোরণে নিহত খলিস্তানপন্থী যুবক শুধু একজন ব্যক্তি নয়, বরং একটি গভীর ষড়যন্ত্রের উপাদান—এই ধারণা স্পষ্ট হচ্ছে তদন্তকারীদের কথায়। গোটা ঘটনায় পাকিস্তান যোগ, বব্বর খালসার মদত, এবং সীমান্ত পেরিয়ে চোরাচালান-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের অগ্রগতি দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার প্রশ্নে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।