ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ‘ভয় পাওয়ার কিছু নেই, শেষ পর্যন্ত সরকারই জয়ী হবে।’ ফের হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে নিশানা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প(Harvard)।আগেই হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দ ফেডেরাল ফান্ডিং ফ্রিজ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। এবার নতুন ট্রাম্প জানিয়েছেন, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য রাখা ৩ বিলিয়ন ডলার অনুদান তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড স্কুলগুলিতে দেওয়ার কথা ভাবছেন।হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি পড়ুয়া ভর্তি নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল, শুক্রবার বস্টনের ফেডারেল আদালত তার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। ফলে আবারও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য হার্ভার্ডের দরজা খুলে যায়। এই আবহে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লড়াইয়ের হুঙ্কার দিয়েছেন ট্রাম্প।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি (Harvard)
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘আমি অত্যন্ত ইহুদি-বিরোধী হার্ভার্ড থেকে তিন বিলিয়ন ডলারের অনুদানের অর্থ নিয়ে আমাদের দেশের সমস্ত ট্রেড স্কুলগুলিতে দেওয়ার কথা ভাবছি(Harvard)। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এটি কত বড় বিনিয়োগ হবে, এবং তার খুব প্রয়োজন আছে।’ তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি। ট্রাম্প আরও বলেন, হার্ভার্ডে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের তালিকা তিনি চান, যাতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করার পর দেখা যায়, এসব ‘চরমপন্থী উন্মাদ অশান্তি সৃষ্টিকারী’দের মধ্যে কে কে যুক্তরাষ্ট্রে আর ফিরে আসতে পারবে না, তা নির্ধারণ করা যায়।’ তিনি বলেন, ‘কিন্তু ভয় পাওয়ার কিছু নেই, শেষ পর্যন্ত সরকারই জয়ী হবে!’

ঘটনার সূত্রপাত (Harvard)
ঘটনার সূত্রপাত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন এক নির্দেশিকাকে কেন্দ্র করে(Harvard)। সেখানে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আসা বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভর্তি প্রক্রিয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। প্রশাসনের এই হঠকারী সিদ্ধান্তের ফলে শুধু হার্ভার্ড নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরও বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে আসা আন্তর্জাতিক ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে পড়ে যায়। উদ্বেগের ছায়া নেমে আসে ছাত্রমহলে। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সরব হয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রেসিডেন্ট ড. অ্যালান এম গার্বার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত বেআইনি ও অযৌক্তিক। আমরা আমাদের ছাত্রছাত্রী ও গবেষকদের সুরক্ষার জন্য সবরকম পদক্ষেপ নেব।’
আরও পড়ুন- Philadelphia shooting: ফের রক্তাক্ত আমেরিকা! ফিলাডেলফিয়ায় বন্দুকবাজের হামলায় মৃত ২
আদালতের রায় (Harvard)
হার্ভার্ড প্রশাসন আইনি পথে এগিয়ে গিয়ে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে(Harvard)। বস্টনের ফেডারেল আদালতে সেই মামলার শুনানি হয়।শুক্রবার হার্ভার্ডের যুক্তি শুনে বিচারক অ্যালিসন ডি. বরোস স্পষ্টভাবে জানান, প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত যথাযথ নয় এবং তা শিক্ষার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ট্রাম্প প্রশাসনের সেই নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করার নির্দেশ দেন। ফলে আবারও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য হার্ভার্ডের দরজা খুলে যায়।এই রায়ের ফলে গোটা বিশ্ব থেকে আসা হাজার হাজার শিক্ষার্থীর মনে স্বস্তির বাতাস বয়ে যায়। হার্ভার্ডের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আনন্দের পরিবেশ ফিরে আসে।
আরও পড়ুন- French President: স্ত্রীর হাতে সপাটে থাপ্পড়! মৌনতা ভাঙলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট
ভারতীয়দেয় উপর প্রভাব (Harvard)
হার্ভার্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট অনুযায়ী, প্রতি বছর ৫০০ থেকে ৮০০ জন ভারতীয় পড়ুয়া হার্ভার্ডে পড়াশোনা করেন(Harvard)। বর্তমানে, ৭৮৮ জন ভারতীয় পড়ুয়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ে নথিভুক্ত রয়েছেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, হার্ভার্ডে বর্তমানে ২৭ শতাংশ ছাত্র বিদেশি, যার মধ্যে ৬,৭৯৩ জন আন্তর্জাতিক ছাত্র রয়েছে। আন্তর্জাতিক ছাত্ররা মার্কিন অর্থনীতিতে প্রতি বছর প্রায় ৪৪ বিলিয়ন ডলারের অবদান রাখে।
